সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ওয়ারেন্ট না থাকায় আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়নি
  • গত অর্থবছরকে ছাড়িয়ে গেছে ১১ মাসের রপ্তানি আয়
  • ভোটারদের নিয়ে নিজেই শপথ পড়ে চেয়ারে বসে পড়ব
  • টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ডাকাতি
  • রাজশাহীতে ৫৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
  • মানুষকে দু-মুঠো খাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার দল বিএনপি
  • করাচিতে জেল ভেঙ্গে পালিয়েছে দুই শতাধিক কয়েদি
  • আগামী বিশ্বকাপের জন্য ভারতের চার ভেন্যু চূড়ান্ত, পাকিস্তান খেলবে কোথায়?
  • সমান্তরাল বিষাদ
  • চাকরিপ্রার্থীদের জন্য গুগলের নতুন এআই টুল ‘ক্যারিয়ার ড্রিমার

কৃষি মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিরা এখনও কোনো সহায়তা পায়নি

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫১

মার্কেটে আগুন লাগার তিন দিন পার হলেও পুড়ে যাওয়া মালামাল এখনো সরাতে পারেননি দোকানিরা। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, আগুনে পুড়ে যাওয়া সকল মালামাল সরিয়ে ফেলার কাজ চলছে।


বিক্রির মাল গুলো এখন সব আবর্জনায় পরিণত হয়েছে। মার্কেটের বাইরের অংশ পরিষ্কার করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। আর ভিতরের দোকান-পাট পরিষ্কার করছে মালিক ও কর্মচারীরা।
শনিবার(১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এ কার্যক্রম পরিচালনা করে সিটি করপোরেশন, দোকান মালিক ও কর্মচারীরা।

এ সময় মার্কেটের ভিতরে ঢুকে সঙ্গে একাধিক ব্যবসায়ীর কথা হয়। ব্যবসায়ীদের দাবি, দুই দিন হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন ধরনের সহযোগিতা পায়নি দোকানিরা। শুধু তালিকা করে গেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন।

এ বিষয় কৃষি মার্কেটের আবেদ ওয়াশের মালিক মো: আবেদ বলেন, দুই দিন ধরে শুধু তালিকা করে গেছে। কিন্তু আমাদের কেউ কিছু জানায়নি। বঙ্গবাজার বা নিউমার্কেটে যেমন সরাসরি একটা সহযোগীতার ঘোষণা আসছিলো। আমাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোন ঘোষণাই আসে নি। আমরা তো সবাই নিঃস্ব হয়েই আছি।

সিটি করপোরেশন থেকে কোন সহযোগিতা না করলেও শুক্রবার(১৫ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসন থেকে কর্মচারীদের দশদিনের বাজার দেয়া হয়। তবে ব্যবসায়ীরা এখন পর্যন্ত জেলা প্রশাসন থেকেও কোন ধরনের সহযোগীতা পায়নি।

মার্কেটটির সর্বশেষ কার্যক্রম নিয়ে মার্কেট কমিটির সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সলিম উল্যাহ বলেন, আমরা আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। মার্কেটটিতে ব্যবসার কার্যক্রম শুরু করতে আরো ৪ থেকে ৫ দিনের বেশি সময় লাগতে পারে। এখন মেয়র দেশে নেই। ঊনি দেশে আসলে আরও দ্রুত গতিতে কাজ সম্পন্ন হবে। এছাড়া যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তাতে সময় লাগাটা স্বাভাবিক। তালিকা করা হচ্ছে, এখনও চলছে। তালিকা সম্পন্ন হলে আমরা ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারবো।

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের সভাপতি ২৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সলিমুল্লাহ সলু। মার্কেটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল ধরেননি।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে আগুনের ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান। শুক্রবারও ঘটনাস্থলে দেখা গেছে তাকে।

ব্যবসায়ীদের বিষয়ে সাদেক খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা চেষ্টা করতেছি, যত দ্রুত সম্ভব ব্যবসাটা আমরা চালু করতে চাই।

মার্কেটটিকে এখন বহুতল করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে সংসদ সদস্য জানান, এ সিদ্ধান্ত সিটি করপোরেশনের। যেহেতু মার্কেটটি সিটি করপোরেশনের অধীনস্থ। তিনি বলেন, যদি বহুতল করার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে ব্যবসায়ীদের একটা ব্যবস্থা করে তারপর করতে হবে।

জানা গেছে, জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ দোকানের কর্মীদের জন্য দুই কেজি করে চাল, এক লিটার তেল, এক কেজি ডাল দেওয়া হয়েছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর