বৃহঃস্পতিবার, ৫ই ডিসেম্বর ২০২৪, ২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • পলাতক ৭০০ বন্দি এখনও অধরা
  • ইসি সচিবালয়ের সচিব শফিউল আজিমকে ওএসডি
  • পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদ্‌ঘাটনে স্বাধীন কমিশন গঠন
  • আবারও পুলিশে বড় রদবদল
  • সচিবালয়ে কর্মচারীদের মহাসমাবেশ স্থগিত
  • কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
  • ঢাকার বাতাস আজ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
  • দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াবে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
  • আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন সেই তাপসী তাবাসসুম
  • আইনজীবী আলিফের জানাজায় হাসনাত-সারজিস

স্বামীর বাড়িতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
১২ জুন ২০২৩, ১৪:৫০

 নরসিংদীতে স্বামীর বাড়ি থেকে সানজিদা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনিয়নের উত্তর বাঘহাটা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

 
 

 

মৃত সসানজিদা সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনিয়নের উত্তর বাঘহাটা এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী মাহবুব আলমের স্ত্রী। সে পাঁচদোনা ইউনিয়নের ভাটপাড়া এলাকার আলতাফ হোসেনের মেয়ে।

মৃতের স্বজনরা জানান, ৯ বছর আগে সানজিদার সঙ্গে পারিবারিকভাবে শিলমান্দী ইউনিয়নের উত্তর বাঘহাটা এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে মাহবুব আলমের বিয়ে হয়। বিয়ের পরই মাহবুব কাজের উদ্দেশে মালয়েশিয়া চলে যায়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময় মাহবুবের বাড়ির লোকরা সানজিদাকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দিতো। সানজিদার বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে যাওয়ায় তার পক্ষে টাকা এনে দেওয়া সম্ভব হয়নি। যার কারণে প্রতিনিয়ত তাকে শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন সহ্য করতে হতো। পাশাপাশি মাহবুব ও সানজিদাকে সংসার চালানোর জন্য কেন টাকা দিতো না। যার কারণে সে বেশির ভাগ সময় বাপের বাড়িতেই থাকতো।

তিনমাস আগে মাহবুব মালয়েশিয়া থেকে দেশে এসে সানজিদাকে বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। সে একমাস দেশে থেকে আবার মালয়েশিয়া চলে যায়। রোববার সন্ধ্যায় মাহবুবের ভাই মাইনুল সানজিদার বাবাকে ফোন দিয়ে বলে ভাবি ফাঁস দিয়েছে, আপনারা দ্রুত আসেন। পরে তারা সানজিদার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখে বারান্দায় সানজিদার নিথর দেহ পড়ে আছে। আর বাড়িতে কেউই নেয়। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

সানজিদার বাবা আলতাফ হোসেন বলেন, আমার মেয়েকে তারা টাকা এনে দেওয়ার জন্য নির্যাতন করতো। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশও হয়েছে। তারপরও তাদের অত্যাচার থামেনি। আমার মেয়ে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। তারা মেয়ের বাচ্চাটিকে নষ্ট করে ফেলে। আর আজকে আমার মেয়েকে মেরে তারা সবাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূইয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় কাজ করতেছি। আর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর