সোমবার, ৭ই অক্টোবর ২০২৪, ২১শে আশ্বিন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষতি: সিপিডি
  • অভিন্ন জলরাশি নীতিমালা না হলে বন্যাঝুঁকি আরও বাড়বে: রিজওয়ানা
  • ব্যাংক নোটে নতুন নকশা, বাদ যেতে পারে বঙ্গবন্ধুর ছবি
  • মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের
  • ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
  • সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে: আসিফ নজরুল
  • বৈরী আবহাওয়া, উপকূলীয় অঞ্চলে নৌযান চলাচল বন্ধ
  • শহীদ পরিবারের পক্ষে আজ মামলা করবে নাগরিক কমিটি
  • ৪ বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত
  • সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা কামালসহ গ্রেপ্তার ৪

করোনার পর অষ্টম ও নবমের শিক্ষার্থীর কোচিং ব্যয় ১-৩ হাজার

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:৫২

করোনা মহামারি পরবর্তী শিখন কার্যক্রমে অষ্টম ও নবম শ্রেণির ৮৫.১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর প্রাইভেট টিউটর বা কোচিংয়ে তাদের নির্ভরতা বেশি ছিল। এজন্য প্রতি মাসে এক হাজরা ১০০ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেছে।


শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) গণসাক্ষরতা অভিযান আয়োজিত ‘মহামারি উত্তর শিক্ষা: স্কুল শিক্ষার পুনরুদ্ধার ও আগামীর অভিযাত্রা’ শীর্ষক এডুকেশন ওয়াচ-২০২২ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গবেষণার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয় এবং অংশগ্রহণকারীদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় অক্টোবরে।

গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণির ৮৫.১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর মতে প্রাইভেট টিউটর বা কোচিংয়ে তাদের নির্ভরতা বেশি ছিল। একই রকম চিত্র দেখা গেছে শহর ও গ্রামাঞ্চলসহ সকল ক্লাস্টারে।

অভিভাবকদের তথ্য অনুযায়ী, (এখানে উল্লেখ করা হয়নি) অষ্টম শ্রেণির প্রায় ৬৪ শতাংশ এবং নবম শ্রেণির ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাইভেট টিউটরিংয়ের জন্য প্রতি মাসে ১,১০০ থেকে ৩,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় করেছে।

গাইড বইয়ের জন্য ব্যয়

আরও দেখা যাচ্ছে যে, ৭৯ শতাংশ প্রাথমিক এবং ৮২.৫ শতাংশ মাধ্যমিক শিক্ষার্থী তাদের পাঠ এবং পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাণিজ্যিক গাইডবই অনুসরণ করেছে। ২০২২ সালের প্রথম নয় মাসে প্রাথমিক পর্যায়ে গড়ে ৬৬৯ টাকা এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ২,০৬৫ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে বলে অভিভাবকরা জানিয়েছেন।

মহামারি পরবর্তী পরিস্থিতিতে অংশীজনদের মতামত

তবে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি এবং খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে যুক্ত থাকার একটি ইতিবাচক চিত্র লক্ষ্য করা গেছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

স্কুলের পারফরম্যান্সের ব্যাপারে অভিভাবকরা সন্তুষ্ট ছিলেন। সমীক্ষার সকল ক্লাস্টারে একই রকম চিত্র পাওয়া গেছে। তবে, তাদের সন্তুষ্টি থেকে অবশ্যই এটা বোঝা যায় না যে, স্কুলগুলো শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশিত শিখনফল অর্জনে সহায়তা করতে সক্ষম হয়েছে। কারণ, শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট কোচিং এবং বাণিজ্যিক গাইডবইয়ের ওপর বেশি নির্ভরতাও লক্ষ্য করা গেছে।

এ সময় গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রদশেদা কে চৌধুরীর সভাপতিত্বে এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপার্সন ড. কাজী খলীকুজ্জমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিখন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহাদাৎ হোসেন, কাজী ফারুক আহমেদ, এডুকেশন ওয়াচের উপপরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর