শনিবার, ১লা মার্চ ২০২৫, ১৭ই ফাল্গুন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ জানাল নির্বাচন কমিশন
  • ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার
  • আয়কর রিটার্ন দাখিলের ভুল অনলাইনেই সংশোধন করা যাবে
  • পদত্যাগপত্রে যা লিখলেন নাহিদ
  • অভিযানে কারও গাফিলতি পেলে ছাড় দেওয়া হবে না
  • ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষে পুলিশের সম্পৃক্ততা ছিল
  • প্রাথমিক সুপারিশমালা দিয়েছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন
  • দেশের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি খুব ভালো
  • বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস ইতালির উপমন্ত্রীর
  • প্রয়োজনে নতুন করে র‌্যাব গঠন করা হবে

রাঙামাটিতে ঝুলন্ত সেতু ডুবেছে, হতাশ হয়ে ফিরছেন পর্যটকেরা

রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪:২৮

কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ ‘ঝুলন্ত সেতু’ ডুবে গেছে। তিন দিন ধরে সেতুটি ডুবে রয়েছে। এ কারণে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সে আসা শত শত পর্যটক হতাশ হয়ে ফিরছেন। সেতুটি ডুবে যাওয়ায় টিকিট বিক্রি ও সেতু দিয়ে চলাচলের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পর্যটন কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষ।

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত আগস্টে টানা বৃষ্টি হওয়ায় কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যায়। এর পাশাপাশি গত সপ্তাহে হ্রদের কাছাকাছি কয়েকটি এলাকায় ভারী বৃষ্টি হয়। এতে মাইনী, কাচালং ও কর্ণফুলী নদীতে পানি বেড়েছে। ওই সব নদী থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি এসে কাপ্তাই হ্রদে মেশায় হ্রদের পানি আরও বেড়ে যায়। ফলে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালেই ঝুলন্ত সেতুর পাটাতন ডুবে যায়। মঙ্গলবার(৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরেও সেতুর পাটাতন এক ফুটের মতো পানির নিচে ডুবে ছিল।


রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স জানায়, সেতু দেখতে পর্যটন কমপ্লেক্স এলাকায় প্রতিদিন এক হাজার থেকে দুই হাজার পর্যটক আসতেন। এ ছাড়া সাপ্তাহিক ও বিশেষ ছুটির দিনে প্রতিদিন চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার পর্যটক ঝুলন্ত সেতু দেখতে আসেন।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে,মঙ্গলবার(৫ সেপ্টেম্বর) সকাল আটটায় রুলকার্ভ অনুযায়ী কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ছিল ১০৬ দশমিক ৮ এমএসএল ( মিন সি লেভেল)। পানি থাকার কথা ৯৯ দশমিক ৯২ এমএসএল। গত তিন দিনে হ্রদে এক ফুটের মতো পানি বেড়েছে।

উল্লেখ্য, সত্তরের দশকে রাঙামাটি জেলাকে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৪ সালে কাপ্তাই হ্রদের দুই দ্বীপের মাঝখানে রাঙামাটি ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ করা হয়। এ সেতুতে উঠে কাপ্তাই হ্রদে নীল জলরাশি উপভোগ করেন পর্যটকেরা।

লালমনিরহাট থেকে আসা পর্যটক মো. মুফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি স্ত্রীকে নিতে প্রথমবার ঝুলন্ত সেতু দেখতে এসেছি। কিন্তু আফসোস, সেতু পানিতে ডুবে যাওয়ায় উঠতে পারলাম না।’

সেতুটি ডুবে যাওয়ার পর দর্শনার্থীদের ঝুলন্ত সেতুতে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। এ জন্য দর্শনার্থীর সংখ্যাও কমেছে বলে জানান পর্যটন কমপ্লেক্সের টিকিট কাউন্টারের ব্যবস্থাপক মো. সোহেল।

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা  বলেন, এখন পর্যটন মৌসুম না হলেও প্রতিদিন এক হাজার থেকে দুই হাজার পর্যন্ত পর্যটক বেড়াতে আসেন। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সেতুতে চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পানি কমে গেলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর