রবিবার, ৬ই অক্টোবর ২০২৪, ২১শে আশ্বিন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষতি: সিপিডি
  • অভিন্ন জলরাশি নীতিমালা না হলে বন্যাঝুঁকি আরও বাড়বে: রিজওয়ানা
  • ব্যাংক নোটে নতুন নকশা, বাদ যেতে পারে বঙ্গবন্ধুর ছবি
  • মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের
  • ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
  • সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে: আসিফ নজরুল
  • বৈরী আবহাওয়া, উপকূলীয় অঞ্চলে নৌযান চলাচল বন্ধ
  • শহীদ পরিবারের পক্ষে আজ মামলা করবে নাগরিক কমিটি
  • ৪ বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত
  • সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা কামালসহ গ্রেপ্তার ৪

ডেঙ্গু চিকিৎসায় ১০টি ক্ষেত্রে বেশি সতর্ক থাকতে হবে

ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের মৃত্যু। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৭৬।

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
২১ আগষ্ট ২০২৩, ১৩:৫৮

ডেঙ্গু প্রতিরোধের দায়িত্ব বর্তমান পরিস্থিতিতে সচেতন মানুষকে নিতে হবে। তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত গর্ভবতী নারী, ছোট শিশুসহ ১০টি ক্ষেত্রে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তির অস্ত্রোপচার থেকে চিকিৎসককে বিরত থাকতে হবে।

 রোববার(২০ আগষ্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ডেঙ্গুর বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয়বিষয়ক এক কর্মশালায় দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এসব কথা বলেন। কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন অধ্যাপক দুটি পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে অধিকাংশ বক্তা ডেঙ্গুতে বেশি মৃত্যুর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

এদিকে রোববার(২০ আগষ্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শনিবার সকাল আটটা থেকে রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে এ বছর মৃত্যুর সংখ্যা হলো ৪৭৬। একই সময়ে সারা দেশে নতুন করে ২ হাজার ১৩৪ জন চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৯৯ হাজার ৯৯৪।

রোববার(২০ আগষ্ট) কর্মশালায় প্রথম উপস্থাপনায় বিএসএমএমইউর ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ১০ ধরনের মানুষের ব্যাপারে বিশেষ পর্যবেক্ষণের দরকার আছে। এই তালিকায় আছেন গর্ভবতী নারী, ছোট শিশু, বৃদ্ধ, স্থূলকায়, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত, কিডনি রোগী, থ্যালাসেমিয়ার রোগী এবং বিশেষ সামাজিক পরিস্থিতির রোগী (যেমন একা থাকা ব্যক্তি)।

মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে সব রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বা করার দরকার নেই। তবে কিছু রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি না করলে ঝুঁকি বাড়বে। ডেঙ্গু থাকা অবস্থায় রক্তক্ষরণ হলে, বারবার বমি হতে থাকলে বা কোনো কিছু পান করতে সমর্থ না হলে সেই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। কারও তীব্র পেটে ব্যথা হলে, মাথা ঘোরালে, হাত বা পা ঠান্ডা হয়ে এলে বা ফ্যাকাশে হয়ে এলে, শ্বাস নিতে কষ্ট হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। যদি কোনো ডেঙ্গু রোগীর চার থেকে ছয় ঘণ্টা প্রস্রাব না হয়, কারও যকৃতের আকার যদি দুই সেন্টিমিটারের মতো বড় হয়ে যায়, তা হলে সেসব রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।

দ্বিতীয় উপস্থাপনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান মো. আতিকুল হক বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে গবেষণায় ঘাটতি আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশে মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, একই ধরনের পরিবেশের দুটি শহর ঢাকা ও কলকাতা। বছরের ৩৬৫ দিন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ হয় কলকাতায়। তারা কীভাবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারল তা তলিয়ে দেখা দরকার।বিএসএমএমইউর ইমেরিটাস অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, খুব জরুরি ছাড়া ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তির অন্য রোগে অস্ত্রোপচারে না যাওয়াই ভালো। যে অস্ত্রোপচার দু–চার দিন পরে করলেই চলে, তা ডেঙ্গু থাকা অবস্থায় না করা ভালো। তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন নেই, এমন কোনো ডেঙ্গুর টিকা ব্যবহার করা ঠিক হবে না।’

কর্মশালার শেষ পর্যায়ে অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন যা পরিস্থিতি, তাতে ডেঙ্গুর দায়িত্ব কারও ওপর দিলে হবে না। প্রত্যেকের দায়িত্ব নিতে হবে। নিজের চারপাশ পরিষ্কার করলে, পানি জমতে না দিলে এডিস মশা কমবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর