সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ওয়ারেন্ট না থাকায় আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়নি
  • গত অর্থবছরকে ছাড়িয়ে গেছে ১১ মাসের রপ্তানি আয়
  • ভোটারদের নিয়ে নিজেই শপথ পড়ে চেয়ারে বসে পড়ব
  • টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ডাকাতি
  • রাজশাহীতে ৫৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
  • মানুষকে দু-মুঠো খাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার দল বিএনপি
  • করাচিতে জেল ভেঙ্গে পালিয়েছে দুই শতাধিক কয়েদি
  • আগামী বিশ্বকাপের জন্য ভারতের চার ভেন্যু চূড়ান্ত, পাকিস্তান খেলবে কোথায়?
  • সমান্তরাল বিষাদ
  • চাকরিপ্রার্থীদের জন্য গুগলের নতুন এআই টুল ‘ক্যারিয়ার ড্রিমার

ডিম-ইলিশ লাগামছাড়া, মাংস-সবজি আগের দামে

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
১২ আগষ্ট ২০২৩, ১৭:৩০

ডিমের দাম লাগামছাড়া। আর মৌসুম চললেও এক কেজি ইলিশের দাম বাজারভেদে এক হাজার ৮০০ টাকা থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা।

চাল, ডাল, সবজি, মাছ ও মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মিরপুর ২, ১০, ১৩ ও ১৪ নম্বর সেকশন, ফার্মগেট কলমিলতা বাজার ও মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক ডজন ডিমের দাম ১৭০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। ডজনের কমে ডিম কিনলে প্রতিটির দাম ১৫ টাকা। অপেক্ষাকৃত কম আয়ের লোকেদের জন্য এ যেন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মিরপুর-১৪ এর কলোনি বাজারে আসা রুবেল নামে এক ব্যক্তি বলেন, একটি ডিম কিনতে ১৫ টাকা লাগবে! এটি কোথাকার হিসাব? এই দেশে দেখার কেউ আছে? জিনিসপত্রের দাম বাড়াবে, আর আমাদের চোখ বন্ধ করে টাকা দিতে হবে। যেন মগের মুল্লুক!

এদিকে ইলিশের ভরা মৌসুম হলেও দাম চড়া। ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম ইলিশের দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। আধা কেজি থেকে এক কেজির ইলিশ ৯০০ থেকে এক হাজার ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশের দাম এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত।

মিরপুর-১৩ এর বাজারে এসে দুশ্চিন্তায় আসগর আলী। তিনি ইলিশ কিনবেন বলে বাসা থেকে বের হলেও বড় ইলিশ হাতে ধরতে সাহস পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, এটি কীভাবে সম্ভব? ভরা মৌসুমেও ইলিশের এত দাম! দাম কেন বেড়েছে, এর ব্যাখ্যাও কারো কাছে নেই। বিক্রেতাদের কথা, নিলে নিন, না নিলে যান। তাদের বক্তব্য, তারা কম দামে কিনতে না পারলে কম দামে দেবেন কীভাবে।

আগের বাড়তি দামেই গরুর মাংসের কেজি বাজারভেদে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি এক হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত। ব্রয়লার মুরগির কেজি বাজারভেদে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। সোনালি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, লেয়ার ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি প্রতি কেজি মুরগি বাজারভেদে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে সব ধরনের মাছ আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। কম আয়ের শ্রমজীবী মানুষের আমিষের জোগানদাতা সিলভার কার্পের কেজি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। দেড় থেকে দুই কেজি বা তার বেশি ওজনের সিলভার কার্পের কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। তেলাপিয়ার কেজি ২০০ টাকা, কই মাছ ২০০ থেকে ২৬০ টাকা পর্যন্ত। চাষের পাঙাশ মাছের কেজি ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত।

রুই ও কাতলার কেজি ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা, বাইম ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০০ টাকা, বড় বোয়াল ৮০০ টাকা, ছোট ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের আইড় ৭৫০ টাকা। চাষের শিং মাছ ৫৫০ টাকা। পাবদার কেজি ৬০০ টাকা। মলা মাছের কেজি ৫০০ টাকা।

রাজধানীর চালের বাজারে নতুন করে বাড়েনি চালের দাম। আগে দাম বেড়ে যাওয়া প্রতি কেজি চিকন চাল বাজার ও ধরনভেদে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের চিকন চালের কেজি ৬৫ টাকা, পাইজাম ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা, স্বর্ণা ও আটাশ চালের কেজি ৫৫ টাকা।

মসুর মোটা ডালের কেজি ১০০ টাকা, চিকন ডাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৩০ টাকা। ছোলার ডাল ৯০ টাকা কেজি। আলুর কেজি ৪০ টাকা, আদা ২৪০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, আমদানি করা পেয়াজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রসুনের দাম বেড়েছে। সব রসুনের কেজি এখন ২২০ থেকে ২৩০ টাকা।

ভোজ্য তেলের দাম নতুন করে বাড়েনি। প্রতি লিটার সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। বোতলজাত পামওয়েলের লিটার ১৫০ টাকা। প্যাকেটজাত চিনি ১৫০ টাকা। খোলা দুয়েক জায়গায় ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, উচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকা, ভেন্ডি ৭০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ক্যাপসিকাম ৪০০ টাকা, শসা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, টমেটো ২৬০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা। কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা।

রাজধানীর বাজারে পণ্যের মূল্য তালিকা টাঙানোর রাখার নির্দেশনা থাকলেও এসবের মধ্যে দুয়েকটি বাদে কোথাও তালিকা দেখা যায়নি। মিরপুর-২ এর একটি বাজারে এক মুরগির দোকানে মূল্য তালিকা থাকলেও তাতে হালনাগাদ দাম লেখা ছিল না।

ফার্মগেটের কলমিলতা বাজারের একটি দোকানে মূল্য তালিকা দেখা গেলেও মার্কেটের অন্য কোনো দোকানে মূল্য তালিকা ছিল না। মূল্য তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে এক দোকানি বলেন, তালিকা কী অয়? এইডা কী বিক্রি অয়?

দোকানির সঙ্গে কথা বলতে শুনে বাজার করতে আসা এক নারী বলেন, মূল্য তালিকা থাকে না, দেখার কেউ নেই। কথা বলতে গেলে দোকানিরা মাস্তানের মতো আচরণ করেন।

মিরপুর ১০ এর একটি বাজারে খাসির মাংসের একটি দোকানে মূল্য তালিকা থাকলেও পাশের কোনো মাংসের দোকানে মূল্য তালিকা নেই। তালিকা নেই কেন, জানতে চাইলে দোকানি জানান, মূল্য তালিকা দিয়া এখন কি অইব, ওইডা তো রোজার মাসের লাইগ্যা।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর