প্রকাশিত:
১৭ জুন ২০২৫, ১৭:৩৫
শিশুদের বেড়ে ওঠার পথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি ব্যক্তিত্ব হল মা ও বাবা। মা যতটা না স্নেহ, ভালোবাসা আর যত্ন দিয়ে শিশুর মানসিক বিকাশ ঘটান, বাবা ততটাই প্রভাব ফেলেন শিশুর আচরণ, মূল্যবোধ ও আত্মবিশ্বাস গঠনে। একটি সন্তানের জীবনধারায় বাবার প্রভাব নিঃসন্দেহে অস্বীকারযোগ্য নয়। বাবার সান্নিধ্য এবং ভূমিকা সন্তানের মানসিক, সামাজিক ও একাডেমিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
ইতিবাচক মানসিকতার অধিকারী বাবার সন্তানের আত্মবিশ্বাস, সাহস ও সামগ্রিক সুস্থতা বৃদ্ধি পায় খুব তাড়াতাড়ি।
গবেষণায় দেখা গেছে যে যখন বাবারা স্নেহশীল এবং সহায়ক হন, তখন এটি একটি শিশুর জ্ঞানীয় এবং সামাজিক বিকাশের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এটি সামগ্রিকভাবে সুস্থতা এবং আত্মবিশ্বাসের অনুভূতিও জাগিয়ে তোলে। কারণ শিশুর জন্য সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে তার বাবা ও মা।
বিশেষত, বাবার কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাস সন্তানের চরিত্র, চিন্তাধারা, আচরণ এবং ভবিষ্যৎ পেশাগত জীবনেও প্রভাব ফেলতে পারে। চলুন, জেনে নিই।
বাবা শান্ত প্রকৃতির হলে সন্তানও হয় শান্ত মেজাজের
বাবা যদি সব সময় শান্ত স্বভাবের হন, সমস্যা মোকাবেলায় ধৈর্য দেখান, তাহলে সন্তানদের মাঝেও এই ধৈর্যশীলতা ও স্থিরতা তৈরি হয়।
সন্তানের শিল্পী সত্তায় বাবার প্রভাব স্পষ্ট
যদি বাবা কোনও শিল্পচর্চা যেমন গান, আঁকা, লেখালেখি বা অভিনয়ে জড়িত থাকেন, তা সন্তানকেও সেই দিকে অনুপ্রাণিত করে।
একইভাবে, ব্যবসায়িক দক্ষতা, প্রযুক্তি বা খেলাধুলার প্রতি বাবার আগ্রহ সন্তানের মধ্যেও গড়ে ওঠে।
সন্তানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা তৈরি হয় বাবার থেকে যেসব বাবা চিন্তাশীল ও দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে অভ্যস্ত, তাদের সন্তানেরা ছোট বয়স থেকেই ঠিক ও ভুল বিশ্লেষণ করে কিভাবে সমস্যা সমাধান করতে হয়, সেই ক্ষমতা অর্জন করে থাকে।
আমাদের মানসিক গঠনের ভিত মূলত তৈরি হয় জন্ম থেকে শুরু করে কৈশোরকাল পর্যন্ত। জন্মগতভাবে পাওয়া চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ছেলেবেলার নানা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে পরবর্তিত ও রূপান্তরিত হয়ে বড় হওয়ার পর এক ধরনের সম্পূর্ণ মানসিক কাঠামো তৈরি হয়। বাবা-মায়ের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা তাকে যতটুকু শেখায়, তার চেয়ে সে অনেক বেশি দেখে শেখে।
তাই বাবার প্রভাব কোনও সন্তানের ওপর সারা জীবন থাকে। এই শিক্ষা আজীবনের।
মন্তব্য করুন: