প্রকাশিত:
১৬ জুন ২০২৫, ১৫:১৯
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে চলন্ত বাসে এক কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৫ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে স্থানীয় জনতা বাসটি থামিয়ে দেয় এবং সেনাবাহিনীর সহায়তায় বাসচালক সাব্বিরকে আটক করা হয়।
পরে সেনাবাহিনী তাকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে।
তবে বাসের হেলপার লিটন মিয়া পালিয়ে গেছে। রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঢাকার ফার্মগেটের একাদশ শ্রেণির এক কলেজছাত্রী ঢাকার ফার্মগেট থেকে ‘বিলাশ পরিবহন’ নামের বাসে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও ওই ছাত্রী ঘুমিয়ে পড়ায় বাসটি সিলেট পর্যন্ত চলে যায়।
সিলেটে ঘুম ভেঙে তিনি নবীগঞ্জ হয়ে বানিয়াচং যাওয়ার জন্য ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামের অপর একটি বাসে ওঠেন। শেরপুরে অন্য যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পর বাসে সে একা থাকলে চালক সাব্বির ও হেলপার লিটন পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
একপর্যায়ে আউশকান্দিতে ভুক্তভোগী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছলে জনতা বাসচালক সাব্বিরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
তবে হেলপার লিটন মিয়া পালিয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ ভিকটিম কলেজছাত্রী ও বাসচালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেন।
নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামান জানান, কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বাসচালককে জনতা আটক করে। হেলপার লিটন পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন: