প্রকাশিত:
১২ জুন ২০২৫, ১৮:০৪
অতিরিক্ত কাজের চাপ আর মানসিক টানাপড়েনের কারণে অনেকেই অনিদ্রাজনিত সমস্যায় ভোগেন। এর ফলে শরীরে বাসা বাঁধে অনিদ্রাজনিত নানা রোগ। কেউ কেউ আবার পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরেও সারাক্ষণ ক্লান্তি অনুভব করেন। এমন হওয়াটাও কিন্তু স্বাভাবিক নয়।
একটি দীর্ঘ আরামদায়ক ঘুমের পরেও যদি সারাক্ষণ ঝিমুনি আসে, ক্লান্ত লাগে, সে ক্ষেত্রে চিন্তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। চিকিৎসার পরিভাষায় একে স্লিপিং ডিসঅর্ডার বলা হয়। আপনিও এই রোগে ভুগছেন কি না, জেনে নিন এই লক্ষণে—
দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুম আসা, সারাক্ষণ ক্লান্তিবোধ, মাঝরাতে ঘুম থেকে জেগে ওঠা, একবার ঘুম ভেঙে গেলে দীর্ঘক্ষণ ঘুম না আসা, দিনের যেকোনো সময় প্রবল ঘুম পাওয়া, জোরে জোরে নাক ডাকা—ঘুমসংক্রান্ত এই সমস্যাগুলো দেখা দিলে শিগিগিরই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ছাড়া আর কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার শরীরের বিশ্রামের প্রয়োজন?
সারাক্ষণ ভাজাপোড়া খেতে মন চাওয়া বা অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি ঝোঁক ঘুম ঠিকমতো না হওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে।
পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার পরও শরীরে পানির ঘাটতি হওয়া, অস্বস্তিবোধ, সারাক্ষণ পানি পিপাসা পাওয়াও কিন্তু ভালো লক্ষণ নয়। শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে এমনটা হতে পারে।
হঠাৎ সব কিছু ভুলে যাওয়া। ঘুমের সমস্যা হলে কিন্তু এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক হোন। অনেক ক্ষেত্রে কোনো কারণ ছাড়াই মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, মাথার যন্ত্রণাও ঘুমের অসুখের লক্ষণ হতে পারে।
ঘুম ঠিকঠাক না হলে কিংবা মানসিক চাপ খুব বেড়ে গেলে তার প্রভাব পড়ে পেটের ওপরে। ঘন ঘন কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়ারিয়া, পেটে ব্যথা, হজমে অসুবিধার মতো সমস্যা হলে বুঝতে হবে শরীরের বিশ্রাম দরকার। ঘন ঘন অসুস্থ হওয়া, জ্বর, সর্দি-কাশি মাঝেমধ্যেই কাবু হওয়া।
ঘুমের অভাব হলে শরীরের প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়, তাই শরীরে ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়া সহজেই হানা দিতে পারে। তাই সতর্ক হওয়া উচিত।
মন্তব্য করুন: