শুক্রবার, ১৩ই জুন ২০২৫, ২৯শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ভারতে বিমান বিধ্বস্ত নিহত অন্তত ৩০ অনেকেই আটকা
  • চীনে রেকর্ড দামে বিক্রি মানবাকৃতির ‘লাবুবু’ পুতুল
  • যে লক্ষণে বুঝবেন শরীরের বিশ্রাম প্রয়োজন
  • ছাত্রশিবির তার আদর্শিক লড়াই থেকে কখনো পিছপা হবে না
  • ভারতে বিমান বিধ্বস্ত, শোকার্ত বলিউড
  • দেশের সংস্কারটা কার জন্য
  • বাবার কবরের পাশে সমাহিত তানিন সুবহা
  • স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা
  • গুজরাটে ২৪ ঘণ্টায় ২ শতাধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত
  • দেড় লাখ ডলারে বিক্রি হলো মানবাকৃতির ‘লাবুবু’ পুতুল

লস অ্যাঞ্জেলেসের বিক্ষোভ নিয়ে এ পর্যন্ত যা কিছু জানা গেছে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১১ জুন ২০২৫, ১১:১৫

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসনবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে সহিংস বিক্ষোভের পর বেশকিছু মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে দুই হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করেছেন। ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জন্ম নিলেও গত সোমবার ট্রাম্প আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য ও ৭০০ মেরিন সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন।

লস অ্যাঞ্জেলেসের লাতিন জনগোষ্ঠী–অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় ফেডারেল ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা বড় সংখ্যায় অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তার শুরু করলে লোকজন এর প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামেন।

শুরুতে এসব বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণভাবে হলেও পরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা একটি প্রধান মহাসড়ক অবরোধ করেন এবং চালকবিহীন কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে সোমবার সন্ধ্যার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হতে শুরু করে।

লস অ্যাঞ্জেলেসে কেন বিক্ষোভ হচ্ছে

গত শুক্রবার ফেডারেল ইমিগ্রেশন সংস্থা (আইসিই) লস অ্যাঞ্জলেসের লাতিন জনগোষ্ঠী–অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় অভিযান শুরু করেছে—এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এ বিক্ষোভ শুরু হয়।

ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এরপরই লস অ্যাঞ্জেলেসে ধরপাকড় বেড়ে যায়।

গত সোমবার দায়ের করা এ মামলায় ক্যালিফোর্নিয়া সরকার অভিযোগ করেছে, গভর্নরের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। সংবিধানের দশম সংশোধনী অনুযায়ী, ফেডারেল সরকারকে যেসব ক্ষমতা স্পষ্টভাবে দেওয়া হয়নি, সেসব রাজ্য সরকারগুলোর জন্য সংরক্ষিত থাকে।

বিবিসির সহযোগী মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলেসের ওয়েস্টলেক ও প্যারামাউন্ট এলাকায় অভিযান চালানো হয়। প্যারামাউন্ট শহরের ৮২ শতাংশের বেশি বাসিন্দা হিসপ্যানিক।

প্যারামাউন্টের একটি হোম ডিপো শপে আইসিই অভিযান চালিয়েছে বলেও খবর পাওয়া যায়। তবে কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানান, এ তথ্য সঠিক নয়।

লস অ্যাঞ্জেলেসে ট্রাম্পের ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনকে কেন বিপজ্জনক মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা
০৯ জুন ২০২৫

লস অ্যাঞ্জেলেসে ট্রাম্পের ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনকে কেন বিপজ্জনক মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা
পরে আইসিই সিবিএসকে জানায়, গত শুক্রবার অভিবাসীদের একটি কর্মস্থলে অভিযান চালিয়ে ৪৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই দিন লস অ্যাঞ্জেলেসের বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও ৭৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

লস অ্যাঞ্জেলেসের কোথায় বিক্ষোভ হচ্ছে এবং সেখানে কী ঘটছে

বিক্ষোভ মূলত লস অ্যাঞ্জেলেসের কেন্দ্রে সীমাবদ্ধ ছিল। কয়েক দিনের সংঘর্ষের পর পুলিশ সেখানে সমাবেশ বেআইনি ঘোষণা করে।

লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভে রাস্তা অবরোধের পর পুলিশ প্রতিবাদকারীদের সরিয়ে দেয়, ৮ জুন ২০২৫
লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভে রাস্তা অবরোধের পর পুলিশ প্রতিবাদকারীদের সরিয়ে দেয়, ৮ জুন ২০২৫

গত রোববার বিভিন্ন যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অশ্বারোহী বাহিনীর ওপর অগ্নিসংযোগকারী সরঞ্জাম ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে। দাঙ্গা মোকাবিলার বিশেষ পোশাক পরা পুলিশ কর্মকর্তারা ‘ফ্ল্যাশ-ব্যাং’ গ্রেনেড ও ‘পিপার স্প্রে’ ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। বিক্ষোভের কারণে কিছুক্ষণের জন্য ১০১ ফ্রিওয়ে (একটি প্রধান সড়ক) বন্ধ হয়ে যায় এবং সেখানে লুটপাটের খবর আসে।

শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ফেডারেল ভবনে আইসিইর অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আনার খবর ছড়িয়ে পড়লে সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয়। গত শনিবার সংস্থাটি হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে ভবনটি ঘেরাও করা ও হামলার অভিযোগ তুলেছে।

লস অ্যাঞ্জেলেসের কেন্দ্র থেকে ৩২ কিলোমিটারের মতো দক্ষিণে প্যারামাউন্ট এলাকার একটি খুচরা নির্মাণসামগ্রীর দোকান (হোম ডিপো) বিক্ষোভের বড় আরেকটি ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। শনিবার সেখানে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ কাঁদা গ্যাসের শেল ও ফ্ল্যাশ গ্রেনেড ছোড়ে। রোববার সশস্ত্র ন্যাশনাল গার্ড ওই এলাকার কাছাকাছি একটি ব্যবসাকেন্দ্র পাহারা দেয়।

লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ (এলএপিডি) জানায়, তারা শনিবার ২৯ জন ও রোববার ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

অন্যদিকে রোববার সান ফ্রান্সিসকোতে বিক্ষোভের জেরে প্রায় ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

ট্রাম্পের সমর্থকেরা ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন দিয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেছেন, প্রয়োজনে নিকটবর্তী ক্যাম্প পেন্ডলটনে থাকা সক্রিয় মেরিন সদস্যদের পাঠানো হবে এবং এখন তাঁরা ‘সর্বোচ্চ সতর্কতায়’ রয়েছেন।

সোমবারও বিক্ষোভ চলেছে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ স্টান গ্রেনেড ছোড়ে। তবে দিন গড়ানোর সঙ্গে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। পরে বিক্ষোভ অনেকটা শান্ত হয়ে আসে এবং রাস্তায় মানুষের চলাচল ও সহিংস ঘটনা—উভয়ই কমে আসে।

লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের অন্যান্য এলাকায় জীবনযাত্রা মোটামুটি স্বাভাবিক ছিল। তবে এলএ প্রাইড প্যারেড উপলক্ষে কিছু সড়ক সপ্তাহান্তে বন্ধ রাখা হয়।

ন্যাশনাল গার্ড কী এবং কেন ট্রাম্প তাদের মোতায়েন করলেন

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার লস অ্যাঞ্জেলেসে দুই হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করার পর ক্যালিফোর্নিয়ার রাজনীতিতে বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

পশ্চিম উপকূলের শহরটিতে সোমবার সন্ধ্যায় ট্রাম্প আরও দুই হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করার নির্দেশ দেন। বাড়তি সহায়তা হিসেবে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনও ৭০০ মেরিন সদস্য ডেকেছে।

ন্যাশনাল গার্ড যুক্তরাষ্ট্রে একটি হাইব্রিড বাহিনীর মতো কাজ করে। এটি একযোগে ফেডারেল ও অঙ্গরাজ্য উভয় সরকারের অধীন কাজ করে। সাধারণত সংশ্লিষ্ট রাজ্যের গভর্নরের অনুরোধে কোনো রাজ্যে এ বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়।

তবে ট্রাম্প এসব প্রক্রিয়ার তোয়াক্কা না করে বিরল ব্যবহৃত একটি ফেডারেল আইন কার্যকর করেন। তিনি যুক্তি দেখান, চলমান এ বিক্ষোভের মাধ্যমে ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে একধরনের বিদ্রোহ’ করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৬৫ সালের পর প্রথমবারের মতো এবারই কোনো গভর্নরের অনুরোধ ছাড়া ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হলো।

এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গাভিন নিউসম ও লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র ক্যারেন ব্যাস। তাঁদের মতে, পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় পুলিশই যথেষ্ট ছিল।

নিউসম ওই পদক্ষেপকে ‘অবৈধ’ ও ‘আগুনে ঘি ঢালার শামিল’ উল্লেখ করে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

সোমবার করা এ মামলায় ক্যালিফোর্নিয়া সরকার অভিযোগ করেছে, গভর্নরের আপত্তি সত্ত্বেও ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। সংবিধানের দশম সংশোধনী অনুযায়ী, সংবিধানে ফেডারেল সরকারকে যেসব ক্ষমতা স্পষ্টভাবে দেওয়া হয়নি, সেসব রাজ্য সরকারগুলোর জন্য সংরক্ষিত থাকে।

লস অ্যাঞ্জেলেস সিটি হলের কাছে বিক্ষোভ চলাকালে জ্বলতে থাকা একটি গাড়ির পাশে এক ব্যক্তি মেক্সিকোর পতাকা ওড়াচ্ছেন, ৮ জুন

লস অ্যাঞ্জেলেস সিটি হলের কাছে বিক্ষোভ চলাকালে জ্বলতে থাকা একটি গাড়ির পাশে এক ব্যক্তি মেক্সিকোর পতাকা ওড়াচ্ছেন, ৮ জুন

ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বোন্টা এ মোতায়েনকে ‘বাস্তবতা বিবর্জিত উসকানিমূলক সিদ্ধান্ত’ ও ‘ফেডারেল সরকারের ক্ষমতার সীমা লঙ্ঘন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এদিকে সিবিএস নিউজ/ইউগভ-এর এক জরিপ অনুযায়ী, জুনের শুরুতে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার আগে ৫৪ শতাংশ মার্কিন ট্রাম্পের অভিবাসননীতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। ৫০ শতাংশ ট্রাম্পের অভিবাসন ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

তবে অর্থনৈতিক নীতির ক্ষেত্রে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন ছিল ৪২ শতাংশের এবং মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় তাঁর নীতির প্রতি সমর্থন ছিল আরও কম; মাত্র ৩৯ শতাংশ।

অন্যান্য কোন সংস্থা জড়িত

ন্যাশনাল গার্ডের কাজ হলো কর্তব্য পালনের সময়ে ফেডারেল এজেন্সির (যেমন আইসিই ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) সদস্যদের সুরক্ষা দেওয়া।

এই সেনারা নিজেরা অভিবাসনসংক্রান্ত অভিযান বা সাধারণ পুলিশি কাজ পরিচালনা করেন না। লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ সে দায়িত্ব পালান করে থাকে।

আইন অনুযায়ী কিছু ব্যতিক্রম (যেমন ইনসারেকশন অ্যাক্ট) ছাড়া বেসামরিক আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে ফেডারেল সেনা মোতায়েন নিষিদ্ধ।

যদিও ট্রাম্প আগে ২০২০ সালের ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের সময় এই আইন প্রয়োগের হুমকি দিয়েছিলেন। তবে সাম্প্রতিকতম বিক্ষোভের আগে তিনি এ ক্ষমতা ব্যবহার করেননি।

ট্রাম্পের সমর্থকেরা ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন দিয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেছেন, প্রয়োজনে নিকটবর্তী ক্যাম্প পেন্ডলটনে থাকা সক্রিয় মেরিন সদস্যদের পাঠানো হবে এবং বর্তমানে তাঁরা ‘সর্বোচ্চ সতর্কতায়’ রয়েছেন।

আইসিই কাদের ফেরত পাঠাচ্ছে

সাম্প্রতিক এসব অভিযান ট্রাম্পের ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অভিবাসীবিরোধী অভিযানের’ পরিকল্পনার অংশ। লস অ্যাঞ্জেলেসের অধিবাসীদের এক-তৃতীয়াংশের বেশি বিদেশে জন্মগ্রহণ করেছে বলে জায়গাটি এমন অভিযানের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।

গত মে মাসের শুরুতে আইসিই জানিয়েছিল, লস অ্যাঞ্জেলেসে এক সপ্তাহব্যাপী অভিযানে ২৩৯ অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। তবে গ্রেপ্তার করা অভিবাসী ও তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানোর সংখ্যা ট্রাম্পের প্রত্যাশার তুলনায় কম ছিল।

পরের মাসে হোয়াইট হাউস আইসিইকে দিনে অন্তত তিন হাজার অভিবাসীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে।

তল্লাশির অন্তর্ভুক্ত এলাকার পরিসরও বাড়িয়ে প্রশাসন এখন রেস্তোরাঁ, দোকানসহ বিভিন্ন কর্মস্থলে অভিযান চালাচ্ছে।

অভিবাসনবিরোধী বড় ধরনের এ অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের এল সালভাদরের একটি বড় কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। এসব বন্দীর ভেতর অন্তত একজন যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ অবস্থায় ছিলেন। ট্রাম্পের অনেক পদক্ষেপ ইতিমধ্যে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর