বুধবার, ১১ই জুন ২০২৫, ২৮শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • বিশ্বে মাত্র ১টি দেশ নিজের খাবারে স্বয়ংসম্পূর্ণ, বাকিরা চরম বিপদে!
  • যেভাবে মোদির বিপদ বেড়েই চলছে
  • কাদের করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন, জানাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
  • বিয়েতে ১০০টি বিড়াল উপহার
  • ১৭ বছর পর ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন হবে
  • বিশ্ববাজারে কমল জ্বালানি তেলের দাম
  • রাজনীতিতে নতুন মোড়
  • পর্যটনকেন্দ্রে ঈদছুটির মুখরতা
  • এবারও চামড়ার বাজারে ধস
  • ২৮৮ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, বরিশালেই ২৬১

বিয়ে করলেই নাগরিকত্ব মিলবে যেসব দেশের

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১০ জুন ২০২৫, ১৩:১৯

জন্মসূত্রে আমরা সবাইই একটি দেশের নাগরিক। তবে আধুনিক বিশ্বে জীবন ও ক্যারিয়ারের নতুন সম্ভাবনার খোঁজে অনেকেই চান দ্বৈত নাগরিকত্ব। বিশেষ করে, ভিনদেশি কাউকে বিয়ে করে অনেকেই সুযোগ পান অন্য দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার। একসময় বন্ধুত্ব গড়ে উঠত চিঠির মাধ্যমে। আজকের দিনে প্রযুক্তির কল্যাণে বিশ্বজুড়ে বন্ধুত্ব বা সম্পর্ক গড়ে তোলা আগের তুলনায় অনেক সহজ। পড়াশোনা, চাকরি বা ভ্রমণের সূত্রে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক, যা শেষ পর্যন্ত পরিণতি পায় বিয়েতে। এমন পরিস্থিতিতে কিছু দেশ রয়েছে যারা বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্বের সুযোগ দেয়। কোথাও এই প্রক্রিয়া খুব সহজ, আবার কোথাও কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমনই কিছু দেশের কথা।

১. কেপ ভার্ড

আফ্রিকার পশ্চিমে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্র কেপ ভার্ড প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। এই দেশের নাগরিককে বৈধভাবে বিয়ে করলেই আপনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন—তাও কোনো ধরনের সময় ক্ষেপণ বা দেশটিতে আগে বসবাস করার বাধ্যবাধকতা ছাড়াই। প্রক্রিয়াটি সহজ ও দ্রুত।

২. স্পেন

দক্ষিণ ইউরোপের বড় ও গুরুত্বপূর্ণ দেশ স্পেন। এখানে স্প্যানিশ নাগরিককে বিয়ের পর এক বছর একসঙ্গে বসবাস করলেই নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। আবেদন করতে হলে প্রয়োজন বৈধ বিয়ের সনদ ও একসঙ্গে থাকার প্রমাণ। স্প্যানিশ ভাষায় মৌলিক দক্ষতা ও দেশটির সংস্কৃতি সম্পর্কে সামান্য জ্ঞান থাকলে সেটি বাড়তি সুবিধা দেয়। এছাড়া, স্পেনের নাগরিকত্ব পেলে কিছু লাতিন আমেরিকান দেশ, ফিলিপাইন ও পর্তুগালের নাগরিকত্বও পাওয়া সহজ হয়।

৩. আর্জেন্টিনা

ফুটবলের দেশ আর্জেন্টিনায় একজন নাগরিককে বিয়ে করলে মাত্র দুই বছর পরেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। বৈধ বিয়ের প্রমাণ, সেখানকার আইন মেনে চলার রেকর্ড এবং সাধারণ স্প্যানিশ ভাষাজ্ঞান থাকলেই আপনি আবেদন করতে পারবেন।

৪. মেক্সিকো

মেক্সিকোর নাগরিককে বিয়ে করে দেশটিতে দুই বছর বসবাস করলেই আপনি নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য হয়ে উঠবেন। আবেদন করতে হলে থাকতে হবে বিয়ের বৈধ সনদ, একসঙ্গে বসবাসের প্রমাণ ও স্প্যানিশ ভাষার মৌলিক দক্ষতা। এই দেশের অন্যতম সুবিধা হলো—নাগরিকত্ব পাওয়ার পরও আপনি আগের দেশের পাসপোর্ট রাখতে পারবেন।

৫. তুরস্ক

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ তুরস্কে বৈধভাবে বিয়ে করার পর তিন বছর একসঙ্গে দাম্পত্য জীবন কাটালে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। তুরস্কের ভাষা বা সংস্কৃতি জানার প্রয়োজন হয় না, যা এই প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে তোলে। তুরস্কের পাসপোর্ট দিয়ে বিশ্বের ১১০টিরও বেশি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করা সম্ভব।

৬. সুইজারল্যান্ড

কঠোর অভিবাসন নীতি থাকলেও বৈধ বিয়ের মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডের নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব। যদি সুইস নাগরিকের সঙ্গে আপনার বৈধভাবে বিয়ে হয় এবং একসঙ্গে তিন বছর বসবাস করেন, তাহলে পাঁচ বছর পর নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন। দেশের বাইরে থাকলেও ছয় বছরের বৈবাহিক সম্পর্ক থাকলে আবেদন সম্ভব। শর্ত হিসেবে প্রমাণ দিতে হবে আপনি সুইস সমাজে একীভূত হয়েছেন—যেমন ভাষাজ্ঞান, সংস্কৃতিচেতনা ও কোনো অপরাধে যুক্ত না থাকার রেকর্ড।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর