বুধবার, ১১ই জুন ২০২৫, ২৮শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • হানিমুনে গিয়ে স্বামীকে হত্যা, নববধূর আত্মসমর্পণ
  • রাজধানীতে পোষা প্রাণীর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আবাসিক হোটেল
  • যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস
  • এপ্রিলে নির্বাচন? গণতন্ত্রের পথরোধে একটি সুপরিকল্পিত ব্যত্যয়
  • বিয়ে করলেই নাগরিকত্ব মিলবে যেসব দেশের
  • প্রবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ দিলো ইতালি
  • অ্যাপেনডিক্স ক্যান্সারের ৫টি লক্ষণ
  • সৌরঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মাস্কের স্টারলিংক ইতোমধ্যে পুড়ে গেছে ৫২৩টি স্যাটেলাইট
  • ভারতকে ঘৃণা করার অনেক যুক্তি আছে
  • ধোবাউড়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা

রেজাউল করিম রনি

ভারতকে ঘৃণা করার অনেক যুক্তি আছে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১০ জুন ২০২৫, ১২:৪৫

ঈদ পরবর্তী এক আলোচনামূলক টকশোতে বিশিষ্ট কবি ও চিন্তক রেজাউল করিম রনি বর্তমান রাজনৈতিক ভাষ্য, ‘ভারতের দালাল’ ট্যাগিং, আত্মমর্যাদাবোধ ও সংস্কৃতির গুরুত্ব বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য তুলে ধরেন।

রেজাউল করিম রনি বলেন,

“আমরা জানি ইতিহাসে বহু মানুষ ভারতের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছে। কিন্তু এখন যেভাবে খুব সহজে কাউকে ভারতের এজেন্ট বলা হচ্ছে, সেটা শত্রুদের খুশি করে তুলছে।”

তিনি ব্যাখ্যা করেন, পলিটিক্স অব নেমিং বা নামকরণের রাজনীতি এখন এক প্রকার রাজনৈতিক অস্ত্র হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ যেমন অতীতে ‘রাজাকার’ ট্যাগ ব্যবহার করেছে, তেমনি বর্তমান সময়ে বিভিন্ন পক্ষ যাকে তাকে ‘ভারতের দালাল’ বলে প্রচার করছে, যা দেশের আত্মপরিচয় ও জাতীয় মর্যাদাবোধকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে।

“আবুল মুনসুর আহমদের মতে, মানুষের মর্যাদাবোধই তার সংস্কৃতির প্রাণ। যার আত্মমর্যাদাবোধ নেই, তার সংস্কৃতিও হয় পরগাছা।”

তার মতে, ২০২৪ সালের ‘অভ্যুত্থান’ ছিল এক ধরনের *আত্মমর্যাদাবোধের জাগরণ। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশে মর্যাদা হারানোর প্রতিযোগিতা চলছে। তিনি মনে করেন, **এটাই আজকের দিনের প্রকৃত সাংস্কৃতিক লড়াই*— জাতির আত্মপরিচয় ও সম্মান পুনরুদ্ধারের লড়াই।

আলোচক বলেন, এই অবস্থার পরিবর্তনে সহবস্থানের রাজনৈতিক পরিবেশ ও সংস্কৃতির প্রয়োজন। সামান্তা বলেন,

“আমরা একটি নতুন রাজনৈতিক পরিবেশ চাই, যেখানে নামকরণ বা ট্যাগিংয়ের বদলে যুক্তিসংগত আলোচনা হবে।”

আলোচনায় উঠে আসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি, নির্বাচনের চাইতে রাজনৈতিক সংস্কারকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
রনি বলেন,

“আমাদের আর্গুমেন্ট হওয়া উচিত, ‘৭০ অনুচ্ছেদ দরকার কি না’, ‘প্রধানমন্ত্রী পরপর দুইবার থাকা উচিত কি না’। অথচ আমরা এখন কেবল ‘নির্বাচন চাই’ বলেই আবেগে ভেসে যাচ্ছি।”


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর