সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ওয়ারেন্ট না থাকায় আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়নি
  • গত অর্থবছরকে ছাড়িয়ে গেছে ১১ মাসের রপ্তানি আয়
  • ভোটারদের নিয়ে নিজেই শপথ পড়ে চেয়ারে বসে পড়ব
  • টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ডাকাতি
  • রাজশাহীতে ৫৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
  • মানুষকে দু-মুঠো খাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার দল বিএনপি
  • করাচিতে জেল ভেঙ্গে পালিয়েছে দুই শতাধিক কয়েদি
  • আগামী বিশ্বকাপের জন্য ভারতের চার ভেন্যু চূড়ান্ত, পাকিস্তান খেলবে কোথায়?
  • সমান্তরাল বিষাদ
  • চাকরিপ্রার্থীদের জন্য গুগলের নতুন এআই টুল ‘ক্যারিয়ার ড্রিমার

নেশার টাকা জোগাড় করতে মেয়েকে বিক্রি করল মা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৯ মে ২০২৫, ১২:৩০

সাউথ আফ্রিকার কেপটাউনের নিকটবর্তী সালদানাহ বে শহরে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা দেশের জনমনে তীব্র আলোড়ন তুলেছে। মাত্র ছয় বছর বয়সে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া যোশলিন স্মিথ-এর মামলায় আদালতে দেখানো একটি হাস্যোজ্জ্বল ভিডিও ক্লিপ গোটা কোর্টরুমকে অশ্রুসজল করে তোলে। এই ছোট্ট শিশুটি এক বছর আগে নিখোঁজ হয়, এবং সম্প্রতি তার মা ও মায়ের প্রেমিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানব পাচার ও অপহরণের দায়ে আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে।

৩৫ বছর বয়সী মা রাকুয়েল স্মিথ, যিনি কেলি স্মিথ নামেও পরিচিত, এক ড্রাগ-আসক্ত নারী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ—তিনি নিজ সন্তান যোশলিনকে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করেছেন। তার প্রেমিক জ্যাকুইন অ্যাপলিস এবং বন্ধু স্টিভেনো ভ্যান রেইন এই অপরাধে সহ-অভিযুক্ত।

আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন এক স্থানীয় যাজক, যিনি বলেন, তিনি একবার স্মিথকে তার সন্তানদের ২০,০০০ র‍্যান্ড (প্রায় ১,১০০ ডলার) করে বিক্রি করতে চাওয়ার কথা বলতে শুনেছিলেন। এমনকি ২৭৫ ডলারেও রাজি ছিলেন তিনি।

২০২৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি যোশলিন নিখোঁজ হন। সেদিন তার এবং ভাইয়ের স্কুল ইউনিফর্ম না থাকায় তারা বাড়িতেই ছিল। সেই সময় মায়ের প্রেমিক অ্যাপলিস তাদের দেখাশোনা করছিলেন। মা নিজে দিনে কয়েকবার ফিরে এসে মাদকের আসরে অংশ নিচ্ছিলেন। যোশলিন কিভাবে বা কখন হারিয়ে গেল, তা কেউ স্পষ্ট বলতে পারে না। পুলিশকে জানানো হয় রাত ৯টার পর।

জন্মের সময় থেকেই যোশলিনের জীবন ছিল অনিশ্চয়তায় ভরা। তার মায়ের মাদকাসক্তির কারণে পরিবারে নির্যাতনের ঘটনা ছিল প্রায়শই।

বিচার চলাকালীন আদালতপ্রাঙ্গণ অশ্রুসজল হয়ে ওঠে। আদালতের দোভাষী পর্যন্ত কান্না চেপে রাখতে পারেননি। যোশলিনের শিক্ষক বলেন, তার সহপাঠীরা প্রতিদিন জানতে চাইতো, "যোশলিন কোথায়?" ক্লাসে প্রতিদিন তার প্রিয় গসপেল গান “God Will Work It Out” বাজানো হয়।

ক্রিমিনোলজিস্ট বিয়ানকা ভ্যান আসওয়েগেন জানান, জাতীয় মনোযোগ পেয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা এই ঘটনাকে দেশব্যাপী আলোচনায় নিয়ে এসেছে। গত ১০ বছরে ৮,৭৪৩ শিশু নিখোঁজ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়, যার মধ্যে বহু ঘটনা রিপোর্টও হয়নি।

আজও যোশলিনের ভাগ্য অজানা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষের হৃদয়ে সে রয়ে গেছে—একটি নির্দোষ ফুল, যাকে সমাজ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর