সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ওয়ারেন্ট না থাকায় আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়নি
  • গত অর্থবছরকে ছাড়িয়ে গেছে ১১ মাসের রপ্তানি আয়
  • ভোটারদের নিয়ে নিজেই শপথ পড়ে চেয়ারে বসে পড়ব
  • টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ডাকাতি
  • রাজশাহীতে ৫৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
  • মানুষকে দু-মুঠো খাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার দল বিএনপি
  • করাচিতে জেল ভেঙ্গে পালিয়েছে দুই শতাধিক কয়েদি
  • আগামী বিশ্বকাপের জন্য ভারতের চার ভেন্যু চূড়ান্ত, পাকিস্তান খেলবে কোথায়?
  • সমান্তরাল বিষাদ
  • চাকরিপ্রার্থীদের জন্য গুগলের নতুন এআই টুল ‘ক্যারিয়ার ড্রিমার

২০২৫ সালে ৭০ লাখ চাকরি কমার আশঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৯ মে ২০২৫, ১২:০৬

২০২৫ সালে বিশ্বে ৭০ লাখ চাকরি কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) তাদের সর্বশেষ 'ওয়ার্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক' ডাব্লিউইএসওর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

বুধবার (২৮ মে) গণমাধ্যমে এ প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের জন্য চাকরির বৈশ্বিক সংকোচন অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বাংলাদেশ একাধারে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং দেশটি প্রতি বছর ১০ লাখেরও বেশি কর্মী বিদেশে পাঠায়।

আইএলও মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ. হুংবো বলেন, এ প্রতিবেদন আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, নারী ও তরুণদের জন্য উপযুক্ত কাজের সুযোগ সৃষ্টির বিষয়টি অবহেলা করা যাবে না। যদিও শিক্ষার হার বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে, কর্মসংস্থানে এখনো শিক্ষাগত অমিল রয়েছে।

২০২২ সালে মাত্র ৪৭.৭শতাংশ কর্মীর শিক্ষাগত যোগ্যতা তাদের কাজের জন্য যথাযথ ছিল। বিগত দশকে কম শিক্ষিত কর্মীর হার ৩৭.৯ শতাংশ থেকে ৩৩.৪ শতাংশে নেমে এলেও, অতিশিক্ষিত কর্মীর হার বেড়ে ১৫.৫ শতাংশ থেকে ১৮.৯ শতাংশ হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে তরুণ বেকারত্ব জাতীয় বেকারত্ব হারের দ্বিগুণেরও বেশি, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বাণিজ্য বিঘ্নিত হওয়ার কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে গেছে।

আইএলও আরো জানিয়েছে, ৭১টি দেশে প্রায় ৮ কোটি ৪০ লাখ চাকরি সরাসরি বা পরোক্ষভাবে মার্কিন ভোক্তা চাহিদার ওপর নির্ভরশীল। এ চাকরিগুলো এখন বাণিজ্যিক উত্তেজনার কারণে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে এর মধ্যে ৫ কোটি ৬০ লাখ চাকরি রয়েছে। তবে কানাডা ও মেক্সিকোতে সর্বোচ্চ অনুপাতে (১৭.১ শতাংশ) চাকরি এ ঝুঁকিতে রয়েছে।

আইএলও মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ. হুংবো বলেন, 'আমরা জানি, বৈশ্বিক অর্থনীতি আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে ধীর গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বাণিজ্য বিঘ্ন অব্যাহত থাকে এবং যদি আমরা শ্রমজগতের পরিবর্তনশীল বাস্তবতাগুলোর মোকাবিলায় ব্যর্থ হই, তাহলে এর নেতিবাচক প্রভাব শ্রমবাজারে পড়বে।'

তিনি বলেন, 'এ পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব করতে সামাজিক সুরক্ষা জোরদার করা, দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ করা, সামাজিক সংলাপ উন্নীত করা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শ্রমবাজার গড়ে তোলা ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সুফল সবাইকে পৌঁছে দিতে হবে।' প্রতিবেদনে আয় বণ্টনে বৈষম্য, উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কর্মসংস্থানের প্রবণতা ও নারীর অংশগ্রহণের কথা তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জন্য সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়।

এ সতর্কবার্তায় বাংলাদেশের আইএলওর বিদায়ি কান্ট্রি ডিরেক্টর ট্রমো পৌটি আইনেন বলেন, 'বাংলাদেশের জন্য চাকরির বৈশ্বিক সংকোচন অত্যন্ত উদ্বেগজনক, যা একাধারে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং দেশটি প্রতি বছর ১০ লাখেরও বেশি কর্মী বিদেশে পাঠায়।'

প্রতিবেদন অনুযায়ী, কর্মসংস্থান এখন উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন পেশার দিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নারীরা অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। ২০১৩ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে নারীদের এ ধরনের পেশায় অংশগ্রহণ ২১.২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৩.২ শতাংশ হয়েছে, যেখানে পুরুষদের মধ্যে এ হার ২০২৩ সালে ছিল প্রায় ১৮ শতাংশ। তার পরও পেশাগত বিভাজন রয়ে গেছে। নারীরা নির্মাণ খাতে কম এবং প্রশাসনিক ও সেবামূলক পেশায় বেশি নিয়োজিত।

আইএলও মহাপরিচালক বলেন, 'এ প্রতিবেদন কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ নিয়ে সতর্কবার্তা দেয়, তবে এটি একটি রূ পরেখাও দিতে পারে যে কীভাবে আমরা মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারি। আমাদের এখনই সামাজিক সুরক্ষা জোরদার করে, দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ করে, সামাজিক সংলাপ উৎসাহিত করে অন্তর্ভুক্তিমূলক শ্রমবাজার গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে। যেন প্রযুক্তির সুফল সবাই পায়। আমাদের দ্রুত, দৃঢ় প্রত্যয়ে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে এ কাজ করতে হবে।'


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর