সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ওয়ারেন্ট না থাকায় আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়নি
  • গত অর্থবছরকে ছাড়িয়ে গেছে ১১ মাসের রপ্তানি আয়
  • ভোটারদের নিয়ে নিজেই শপথ পড়ে চেয়ারে বসে পড়ব
  • টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ডাকাতি
  • রাজশাহীতে ৫৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
  • মানুষকে দু-মুঠো খাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার দল বিএনপি
  • করাচিতে জেল ভেঙ্গে পালিয়েছে দুই শতাধিক কয়েদি
  • আগামী বিশ্বকাপের জন্য ভারতের চার ভেন্যু চূড়ান্ত, পাকিস্তান খেলবে কোথায়?
  • সমান্তরাল বিষাদ
  • চাকরিপ্রার্থীদের জন্য গুগলের নতুন এআই টুল ‘ক্যারিয়ার ড্রিমার

নেতৃত্ব বিকাশের যুব সংস্থা 'স্কাউটিং'

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৬ মে ২০২৫, ১১:৩৬

বিশ্বব্যাপী একটি যুব সংস্থা স্কাউটিং (Scouting)। তরুণদের চরিত্র গঠন, নেতৃত্বের দক্ষতা, আত্মনির্ভরতা, সামাজিক দায়িত্ব ও শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক বিকাশে সহায়তা করে এই সংস্থা। যুবসমাজকে তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা অনুযায়ী উন্নত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা এই সংস্থার উদ্দেশ্য, যাতে তারা সমাজ, দেশ ও বিশ্বে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। বয়সভেদে স্কাউটিং তিনটি স্তরে বিভক্ত।

৬ থেকে ১১ বছরের ছেলেমেয়েরা কাব স্কাউট, ১১ থেকে ১৭ বছরের ছেলেমেয়েরা স্কাউট এবং ১৭ বছরের বেশি ছেলেমেয়েরা রোভার স্কাউটের অন্তর্ভুক্ত।

১৯০৭ সালে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিটিশ সেনা লর্ড রবার্ট ব্যাডেন-পাওয়েল ইংল্যান্ডের ব্রাউনসিতে ২০ জন বালকের অংশগ্রহণে প্রথম স্কাউট ক্যাম্প আয়োজন করেন। এটি ছিল স্কাউটিংয়ের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম। পরের বছর তিনি ‘Scouting for Boys’ নামক বই প্রকাশ করেন।

এটি বিশ্বজুড়ে স্কাউটিং আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করে। বইটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটেনসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও স্কাউটিং সংগঠন গড়ে উঠতে থাকে। লন্ডনে প্রথম ওয়ার্ল্ড স্কাউট জাম্বুরি অনুষ্ঠিত হয় ১৯২০ সালে। সেখানে ব্যাডেন-পাওয়েলকে ‘Chief Scout of the World’ উপাধি দেওয়া হয়।

১৯২০-এর দশকে বিশ্ব স্কাউট সংস্থা গঠিত হয়। এটি বিশ্বজুড়ে স্কাউট সংগঠনগুলোর সমন্বয়কারী সংস্থা।
ব্রিটিশ ভারতের আওতাধীন তৎকালীন পূর্ববঙ্গে স্কাউটিং চালু হয় ১৯১৪ সালে। এটি তখন ‘The Boy Scouts Association in India’-এর অধীনে পরিচালিত হতো। মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকার ‘Bangladesh Scouts’ গঠন করে।

বাংলাদেশ স্কাউটস বিশ্ব স্কাউট সংস্থার সদস্য পদ লাভ করে ১৯৭৪ সালে। বিশ্বজুড়ে ১৭০টিরও বেশি দেশে ৫০ কোটির বেশি মানুষ স্কাউটিংয়ের সঙ্গে জড়িত।

রাস্তা ও আশপাশ পরিষ্কার রাখা, বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ রক্ষা, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় বা দুর্যোগে সাহায্য করা, অসুস্থ, বয়স্ক বা দরিদ্রদের সাহায্য, রক্তদান ও স্বাস্থ্যসচেতনতা ক্যাম্পেইন—এই কাজগুলো স্কাউটিংয়ের সদস্যরা করে থাকে। আউটডোর কার্যক্রমের মধ্যে আছে ক্যাম্পিং, হাইকিং, ট্রেকিং, প্রকৃতির পর্যবেক্ষণ ও রক্ষার কাজ, রান্না, তাঁবু বানানো, আগুন জ্বালানো ইত্যাদি কাজে দক্ষতা অর্জন প্রভৃতি।

স্কাউটিংয়ের অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে। তবে বাংলাদেশের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কাউট ইউনিট নেই। দক্ষ স্কাউট শিক্ষক (স্কাউট লিডার) বা প্রশিক্ষকের সংখ্যা সীমিত। তাই নিয়মিত প্রশিক্ষণ বা ক্যাম্প আয়োজন করা সব প্রতিষ্ঠানে সম্ভব হয় না। ক্যাম্পিং, প্রশিক্ষণ, ব্যাজ বা ইউনিফরমের জন্য খরচ হয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এসব খরচ বহন করতে পারে না। কিছু এলাকায় ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের স্কাউটিংয়ে অংশগ্রহণ তুলনামূলকভাবে কম। সামাজিক ও ধর্মীয় বাধা মেয়েদের অংশগ্রহণে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর