সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ওয়ারেন্ট না থাকায় আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়নি
  • গত অর্থবছরকে ছাড়িয়ে গেছে ১১ মাসের রপ্তানি আয়
  • ভোটারদের নিয়ে নিজেই শপথ পড়ে চেয়ারে বসে পড়ব
  • টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ডাকাতি
  • রাজশাহীতে ৫৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
  • মানুষকে দু-মুঠো খাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার দল বিএনপি
  • করাচিতে জেল ভেঙ্গে পালিয়েছে দুই শতাধিক কয়েদি
  • আগামী বিশ্বকাপের জন্য ভারতের চার ভেন্যু চূড়ান্ত, পাকিস্তান খেলবে কোথায়?
  • সমান্তরাল বিষাদ
  • চাকরিপ্রার্থীদের জন্য গুগলের নতুন এআই টুল ‘ক্যারিয়ার ড্রিমার

খেলাধুলার বয়সে আলিফের সংসার যুদ্ধ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২১ মে ২০২৫, ১৩:৫৮

যেই বয়সে স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা আর বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করার কথা, সেই বয়সে জীবনযুদ্ধে নেমেছে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার এক শিশু—আলিফ। মাত্র ১২ বছর বয়সেই পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য হয়ে উঠেছে সে। মাথায় করে পাপড় বিক্রি করে চালাচ্ছে সংসার। এ যেন এক অসম সময়ে বড় হয়ে ওঠার নির্মম বাস্তবতা।

আলিফের বাড়ি হোসেনপুর উপজেলার আদু মাস্টার বাজার এলাকায়। ছোটবেলায়ই বাবাকে হারিয়েছে সে—এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায়। বাবার মৃত্যু যেন তার শৈশবকে কেড়ে নিয়েছে। সংসারের ভার এখন তার মা আর আলিফের কাঁধে। মা শ্রীপুরের মাওনা থেকে পাপড় সংগ্রহ করে আনেন, আর আলিফ সেই পাপড় বিক্রি করে সংসারের খরচ জোগায়।

প্রতিদিন ভোরবেলায় বের হয়ে পড়ে আলিফ। কখনো বাজারে, কখনো দোকানে, কখনোবা গ্রামের পথ ধরে হাঁটে সে। দিনে আয় হয় প্রায় ৪০০–৫০০ টাকা, যার মধ্যে লাভ থাকে ২৫০–৩০০ টাকার মতো। এই সামান্য আয় দিয়েই চলছে তিন সদস্যের ছোট্ট পরিবারটির দিন।

আলিফের কাছ থেকে নিয়মিত পাপড় কেনেন রাসেল মিয়া। তিনি বলেন, “আলিফের জীবনের গল্পটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি বাংলাদেশের হাজারো শিশুর প্রতিচ্ছবি—যারা সমাজের অবহেলায় শিশুশ্রমে আটকে পড়েছে। তাদের স্বপ্নগুলো প্রতিদিন একটু একটু করে নিঃশেষ হচ্ছে। এই শিশুদের শুধু সহানুভূতি নয়, দরকার সক্রিয় সহায়তা।”

আলিফের মতো শিশুদের জন্য প্রয়োজন ভালোবাসা, সহযোগিতা আর সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা। হয়তো কেউ একটু এগিয়ে এলেই আবার স্কুলের পথে ফিরতে পারবে তারা। বইভর্তি ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ফিরতে পারবে রঙিন শৈশবে—যা হারিয়ে গিয়েছিল জীবনের কঠিন বাস্তবতায়।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর