সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ওয়ারেন্ট না থাকায় আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়নি
  • গত অর্থবছরকে ছাড়িয়ে গেছে ১১ মাসের রপ্তানি আয়
  • ভোটারদের নিয়ে নিজেই শপথ পড়ে চেয়ারে বসে পড়ব
  • টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ডাকাতি
  • রাজশাহীতে ৫৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
  • মানুষকে দু-মুঠো খাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার দল বিএনপি
  • করাচিতে জেল ভেঙ্গে পালিয়েছে দুই শতাধিক কয়েদি
  • আগামী বিশ্বকাপের জন্য ভারতের চার ভেন্যু চূড়ান্ত, পাকিস্তান খেলবে কোথায়?
  • সমান্তরাল বিষাদ
  • চাকরিপ্রার্থীদের জন্য গুগলের নতুন এআই টুল ‘ক্যারিয়ার ড্রিমার

বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার, মহাবিশ্বের শেষ আসছে আগের ধারণার চেয়ে অনেক আগে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৮ মে ২০২৫, ১১:৫৯

আমাদের মহাবিশ্ব একসময় ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যাবে। তারা একে একে নিভে যাবে, গ্রহগুলো ঠান্ডা হয়ে জমে যাবে, আর কৃষ্ণগহ্বর (Black Hole) সব আলো শুষে নিয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত, একসময় মহাবিশ্বে শুধু অন্ধকার আর নিরবতা থাকবে।

এই ঘটনা ঘটবে এত দীর্ঘ সময় পরে যে মানুষ কখনো তা দেখতে পারবে না। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এই ঘটনার সময় হিসাব করার চেষ্টা করেছেন , এবং নতুন গবেষণায় জানা গেছে, মহাবিশ্বের এই শেষ আগের ধারনার চেয়ে অনেক আগে আসতে পারে।

চিন্তার কিছু নেই, এই "আগে" বলতে বোঝানো হচ্ছে আজ থেকে ১০^৭৮ বছর পরে — অর্থাৎ ১-এর পরে ৭৮টি শূন্য! এটা এখনো এত দীর্ঘ সময় যে কল্পনাও করা যায় না। তবে আগের ধারণা ছিল এই সময় হবে ১০^১১০ বছর পরে। তাই এই নতুন হিসাব একটি বড় পরিবর্তন।

এই গবেষণাটি করেছেন ড. হেইনো ফালকে নামের এক বিজ্ঞানী এবং তার দল। তারা দেখেছেন, মহাবিশ্বের যেসব বস্তু অনেক দিন টিকে থাকে , যেমন সাদা বামন (white dwarf) আর নিউট্রন তারা (neutron star) , সেগুলোও একসময় নিঃশেষ হয়ে যাবে।

এই ধীরে ধীরে হারিয়ে যাওয়ার পেছনে আছে একটি বিশেষ প্রক্রিয়া, যার নাম হকিং বিকিরণ (Hawking Radiation)। ১৯৭০-এর দশকে বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এটি প্রস্তাব করেছিলেন। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, কৃষ্ণগহ্বরের চারপাশে এমন এক ধরনের বিকিরণ হয় যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কৃষ্ণগহ্বরকেও ছোট করে দেয়। একসময় তা সম্পূর্ণভাবে উধাও হয়ে যায়।

ফালকে ও তার দল এই ধারণা আরও বিস্তৃত করেছেন। তারা বলছেন, শুধু কৃষ্ণগহ্বর নয়, অন্যান্য ঘন বস্তু যেমন সাদা বামন বা নিউট্রন তারাও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের বিকিরণে হালকা হতে হতে একসময় সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয়ে যাবে। এটা হয় তাদের ঘনত্ব এবং স্থান-কাল (spacetime) বেঁকে যাওয়ার কারণে।

সোজা কথায়, সব কিছু একসময় হারিয়ে যাবে , কিন্তু সেটা এত দীর্ঘ সময় পরে হবে যে আমাদের বা আমাদের পরবর্তী অসংখ্য প্রজন্মেরও চিন্তা করার কিছু নেই।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর