সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ওয়ারেন্ট না থাকায় আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়নি
  • গত অর্থবছরকে ছাড়িয়ে গেছে ১১ মাসের রপ্তানি আয়
  • ভোটারদের নিয়ে নিজেই শপথ পড়ে চেয়ারে বসে পড়ব
  • টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ডাকাতি
  • রাজশাহীতে ৫৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
  • মানুষকে দু-মুঠো খাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার দল বিএনপি
  • করাচিতে জেল ভেঙ্গে পালিয়েছে দুই শতাধিক কয়েদি
  • আগামী বিশ্বকাপের জন্য ভারতের চার ভেন্যু চূড়ান্ত, পাকিস্তান খেলবে কোথায়?
  • সমান্তরাল বিষাদ
  • চাকরিপ্রার্থীদের জন্য গুগলের নতুন এআই টুল ‘ক্যারিয়ার ড্রিমার

একটু সুখের খোঁজে প্রিয় মুখগুলো ছেড়ে মৃত্যুর মুখে পা রাখেন প্রবাসীরা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৭ মে ২০২৫, ১৭:৩৭

পরিবার-পরিজন, শৈশবের মাঠ, প্রিয় মানুষের হাসিমুখ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমান হাজারো বাংলাদেশি। লক্ষ্য একটাই—ভাগ্য বদলানো। একটু ভালো আয়, একটু স্বচ্ছলতা, সন্তানের মুখে হাসি—এই চাওয়াই তাদের জীবনের চালিকাশক্তি। এই স্বপ্নে নিজের শৈশবের গ্রাম, মায়ের হাতের রান্না, সন্তানের হাসি, স্ত্রীর অপেক্ষা—সবকিছু রেখে পাড়ি দেন অজানার উদ্দেশ্যে। প্রতিবছর এই আশায় হাজার হাজার শ্রমিক সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দেন। কিন্তু এই স্বপ্ন পূরণের পথ এতটা সহজ নয়।

বিদেশে পা রাখার পরই শুরু হয় জীবনের আরেক অধ্যায়—যেখানে অপেক্ষা করে অপরিচিত ভাষা, সংস্কৃতি, নিঃসঙ্গতা, আর প্রায়ই নিষ্ঠুর কর্মজীবন। সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার, ওমানসহ বিভিন্ন দেশে শ্রমিকেরা প্রতিদিন ১০-১২ ঘণ্টা কাজ করেন কঠিন পরিবেশে। প্রচণ্ড গরম, অনিরাপদ নির্মাণস্থান, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও চিকিৎসা সুবিধার অভাব—এসব তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। কোথাও নেই পর্যাপ্ত সুরক্ষা, নেই শ্রম অধিকার, অনেক সময় নেই ন্যায্য মজুরিও।

এত কষ্টের পরও তারা সবকিছু মুখ বুজে সহ্য করেন। কারণ পেছনে রয়েছে পরিবারের দায়িত্ব—মায়ের ওষুধ, সন্তানের স্কুল ফি, ঘরের চাল-ডাল। প্রিয়জনদের মুখে হাসি ফোটাতে তারা একটানা কাজ করে যান, নিজের জীবন-সুরক্ষা ভুলে গিয়ে।

তবে এই স্বপ্নের পথে যেসব প্রবাসী প্রাণ হারান, যাঁদের পরিবার আর কখনও তাদের ফিরে পায় না, তাদের জন্য যেন বিশ্বব্যবস্থায় খুব বেশি জায়গা থাকে না। নিঃশব্দে হারিয়ে যায় সেই স্বপ্নগুলো। তাই এখন সময় এসেছে শুধু প্রবাসী আয়কে স্বাগত না জানিয়ে, তাদের নিরাপত্তা, অধিকার ও মর্যাদাকেও গুরুত্ব দেওয়ার।

কারণ, বিদেশে গিয়ে কাজ করবেন, কিছু বেশি পারিশ্রমিক পাবেন এবং পরিবার ভালো থাকবে—এটুকুই তো চাওয়া। এতটুকু চাওয়া পূরণ করতে রাষ্ট্রের, নিয়োগকর্তার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।

পরিবার পরিজন ছেড়ে, জন্মভূমি ছেড়ে মানুষ প্রবাসে যান ভাগ্য বদলের আশায়। বিদেশে গিয়ে কাজ করবেন, কিছু বেশি পারিশ্রমিক পাবেন এবং পরিবার ভালো থাকবে—এটুকুই তো চাওয়া। আর এই চাওয়াটুকু সামনে নিয়েই প্রতিবছর শ্রমিক হিসেবে যান অনেক বাংলাদেশিরা।

 

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর