সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ওয়ারেন্ট না থাকায় আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়নি
  • গত অর্থবছরকে ছাড়িয়ে গেছে ১১ মাসের রপ্তানি আয়
  • ভোটারদের নিয়ে নিজেই শপথ পড়ে চেয়ারে বসে পড়ব
  • টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ডাকাতি
  • রাজশাহীতে ৫৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
  • মানুষকে দু-মুঠো খাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার দল বিএনপি
  • করাচিতে জেল ভেঙ্গে পালিয়েছে দুই শতাধিক কয়েদি
  • আগামী বিশ্বকাপের জন্য ভারতের চার ভেন্যু চূড়ান্ত, পাকিস্তান খেলবে কোথায়?
  • সমান্তরাল বিষাদ
  • চাকরিপ্রার্থীদের জন্য গুগলের নতুন এআই টুল ‘ক্যারিয়ার ড্রিমার

পাকিস্তানকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ দিলো আইএমএফ, ভারতের তীব্র আপত্তি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১০ মে ২০২৫, ১১:০২

ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে এই মুহূর্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে পাকিস্তানের পাশে দাড়াল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। পাকিস্তানকে প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার অতিরিক্ত ঋণ মঞ্জুর করেছে আইএমএফ। শুক্রবার (৯ মে) ওয়াশিংটনে বৈঠকে আইএমএফের ঋণ সংক্রান্ত বোর্ড এ ঋণ অনুমোদন করে।

শুক্রবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয় বলে ভারতের সংবাদ মাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমস এ খবর জানিয়েছে।

অবশ্য ওয়াশিংটনের বৈঠকে ভারত ভোটদানে বিরত থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, আইএমএফের ঋণ পাওয়ার যে শর্ত থাকে, তা মানতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান।

ভারতের আরও অভিযোগ, ঋণের টাকা অনেক ক্ষেত্রে সীমান্তে সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করেছে পাকিস্তান। ২০১৯ সাল থেকে চারটি আইএমএফ প্রকল্প হয়েছে। আগের প্রকল্পগুলোর ঋণের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করলে পাকিস্তান আরও একটা প্রকল্পের অধীনে ঋণ চাইত না। সে কারণে তাদের ঋণের অর্থের সদ্ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বিষয়ে সে দেশের সেনা বেশি নাক গলায় বলেই বহু নীতি রূপায়ণ করা সম্ভব হয় না। সংস্কারমূলক পদক্ষেপ বাধাপ্রাপ্ত হয়। পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকার পরেও অর্থনৈতিক বিষয়ে নাক গলায় সেনাবাহিনী। আর সে কারণেই ঋণের শর্ত মানেনি পাকিস্তান।

দুই বছর আগে আইএমএফের কাছ থেকে ৭০০ কোটি ডলারের ঋণ পেয়েছিল পাকিস্তান। করোনার পরে ডলারের তুলনায় পাকিস্তানি মুদ্রার দাম পড়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি, ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি ও জ্বালানির অভাবে ভুগছিল পাকিস্তান। সেই সময় আইএমএফের ঋণ পেয়ে কিছুটা চাঙ্গা হয় পাকিস্তানের অর্থনীতি। পরিবর্তে বেশ কিছু শর্তও মানতে বাধ্য ছিল পাকিস্তান।

ভারত জানিয়েছে, এই শর্ত মানেনি তারা। শর্ত মেনে যে সংস্কার করার কথা ছিল, তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাদের দেশের সেনাবাহিনী। ঋণের অর্থেরও সদ্ব্যবহার করেনি তারা।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর