সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ওয়ারেন্ট না থাকায় আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়নি
  • গত অর্থবছরকে ছাড়িয়ে গেছে ১১ মাসের রপ্তানি আয়
  • ভোটারদের নিয়ে নিজেই শপথ পড়ে চেয়ারে বসে পড়ব
  • টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ডাকাতি
  • রাজশাহীতে ৫৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
  • মানুষকে দু-মুঠো খাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার দল বিএনপি
  • করাচিতে জেল ভেঙ্গে পালিয়েছে দুই শতাধিক কয়েদি
  • আগামী বিশ্বকাপের জন্য ভারতের চার ভেন্যু চূড়ান্ত, পাকিস্তান খেলবে কোথায়?
  • সমান্তরাল বিষাদ
  • চাকরিপ্রার্থীদের জন্য গুগলের নতুন এআই টুল ‘ক্যারিয়ার ড্রিমার

চীনের তৈরি HQ9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিরক্ষা কাজে কতটা সক্ষম

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
৮ মে ২০২৫, ১৮:০৮

মধ্যরাতে হঠাৎ পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর সীমান্তে ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালায় ভারত। অপারেশনটি পরিচালনার পর দিল্লির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই অভিযানে পাকিস্তানের ভেতরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা হয়েছে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদ দাবি করে, তারা ভারতের কয়েকটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। এই ঘটনার পর থেকেই আলোচনা শুরু হয় পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ঘিরে, বিশেষ করে চীনের তৈরি HQ-9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নিয়ে।

HQ-9 সিস্টেমটি মূলত রাশিয়ার S-300 এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির আদলে তৈরি করেছে চীন। ১৯৮০-এর দশকে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও ২০০৯ সালে চীনের ৬০তম জাতীয় দিবসে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে আনা হয় এই প্রযুক্তি। পাকিস্তান এই সিস্টেমটি সংগ্রহ করে নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষাকে আধুনিক ও কার্যকর করার উদ্দেশ্যে।

এইচ কিউ-৯ একটি ট্রান্সপোর্টার ইলেক্ট্রো লঞ্চার ভিত্তিক সিস্টেম, যেখানে প্রতিটি ইউনিটে ছয় বা তার বেশি ট্রাক থাকে এবং প্রতিটি ট্রাকে চারটি করে মিসাইল কন্টেইনার থাকে। প্রতিটি মিসাইলের ওজন প্রায় দুই টন এবং দৈর্ঘ্য ৬.৮ মিটার। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান, ক্রুজ মিসাইল, এয়ার-টু-সারফেস মিসাইল এবং ছোট ব্যালিস্টিক মিসাইল ধ্বংসে সক্ষম। মিসাইলগুলো ঘন্টায় প্রায় ৫০০০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে এবং ২০০ কিলোমিটার দূরত্ব ও ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছাতে সক্ষম। সিস্টেমটিতে রয়েছে HT-233 নামক একটি শক্তিশালী রাডার, যা ১২০ কিলোমিটার দূর থেকে লক্ষ্য শনাক্ত করতে সক্ষম এবং একসঙ্গে ১০০টি লক্ষ্যবস্তু ট্র্যাক ও ৫০টির বেশি লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে।

তবে বাস্তব যুদ্ধক্ষেত্রে এইচ কিউ-৯ সিস্টেমের কার্যকারিতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ভারতীয় পক্ষ দাবি করছে, এত উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তান ভারতের হামলা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয়দের ট্রোলিংয়ের শিকার হয়েছে। অনেকেই বলছেন, চীন তাদের 'বন্ধু' হিসেবে ঠিকমতো পাশে দাঁড়ায়নি এবং আধুনিক প্রযুক্তির নামে পাকিস্তানকে একপ্রকার ঠকানো হয়েছে।

অপারেশন সিন্দুরের ঘটনার পর HQ-9 প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। বাস্তব যুদ্ধের ময়দানেই প্রযুক্তির সঠিক কার্যকারিতা যাচাই হয়, এই বাস্তবতায় HQ-9 আদৌ কতটা সফল হয়েছে, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর