সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ওয়ারেন্ট না থাকায় আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়নি
  • গত অর্থবছরকে ছাড়িয়ে গেছে ১১ মাসের রপ্তানি আয়
  • ভোটারদের নিয়ে নিজেই শপথ পড়ে চেয়ারে বসে পড়ব
  • টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ডাকাতি
  • রাজশাহীতে ৫৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
  • মানুষকে দু-মুঠো খাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার দল বিএনপি
  • করাচিতে জেল ভেঙ্গে পালিয়েছে দুই শতাধিক কয়েদি
  • আগামী বিশ্বকাপের জন্য ভারতের চার ভেন্যু চূড়ান্ত, পাকিস্তান খেলবে কোথায়?
  • সমান্তরাল বিষাদ
  • চাকরিপ্রার্থীদের জন্য গুগলের নতুন এআই টুল ‘ক্যারিয়ার ড্রিমার

১২ জন বৌ, ১০২ জন সন্তান, ৫৭৮ জন নাতিনাতনি নিয়ে সংসার!

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২২ জুলাই ২০২৩, ১৭:৩৬

সংবাদমাধ্যমে চোখ রাখলেই দেখা যায় কারও না কারও একাধিক বিয়ে লেগেই আছে। কেউ বৌকে না জানিয়ে বিয়ে করে ফেলছেন, কেউ আবার একই সঙ্গে দুই বৌকে ধুমধাম করে বিয়ে করছেন। সম্প্রতি উগান্ডার এক ব্যক্তির বিয়ের খবর নিয়ে চারদিকে চর্চা শুরু হয়েছে। উগান্ডার লুসাকার বাসিন্দা ৬৮ বছর বয়সি এক ব্যক্তির ১২ জন বৌ, ১০২ জন সন্তান, ৫৭৮ জন নাতিপুতি। শুনেই মাথা ঘুরে গেল তো? অবাক লাগলেও, এই ঘটনা সত্যিই ঘটেছে। মুসা হাসহ্যা কাসেরা নামে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন তিনি মোটেই গর্ভনিরোধক ব্যবহারের পক্ষপাতী নয়, তাই জীবনে কোনও দিনও তিনি গর্ভনিরোধক ব্যবহারও করেননি।

তবে এত সন্তানের জন্মের পর তিনি এখন ক্লান্ত। আর সন্তান জন্ম দেওয়ার ইচ্ছে নেই মুসার। যদিও নিজে গর্ভনিরোধক ব্যবহার করতে নারাজ তিনি, তার পরিবর্তে তিনি স্ত্রীদের গর্ভনিরোধক বড়ি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমকে মুসা বলেন, ‘‘সমস্যার বিষয় হল আমি আমার বেশির ভাগ সন্তানের নামই মনে রাখতে পারি না। কেবল প্রথম আর শেষ সন্তানের নাম আমার মনে থাকে। অন্যদের দেখলেও তাদের নাম মনে পড়ে না।’’

১৯৭২ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে প্রথম বার বিয়ে হয় মুসার। তিনি একা নন, তাঁর পরিবারেই একাধিক বিয়ের চল রয়েছে। পরিবারের চাপেই প্রথম দিকে তিনি একের পর এক বিয়ে করা শুরু করেন। তবে একাধিক বিয়ে ও সন্তান জন্ম দেওয়ার কাজ মোটেই ঠিক হয়নি, এখন এমনটাই মনে করেন মুসা। আর্থিক অভাবের কারণে তিনি পরিবারের লোকজনদের ঠিকমতো খাবারের জোগান দিতে পারছেন না। ছেলেমেয়ের জামাকাপড়, পড়াশোনার খরচও তিনি সামলে উঠতে পারছেন না। এই কারণে মুসার দুই বৌ তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। মুসা বলেন, ‘‘আর্থিক টানাপড়েনের কারণেই আমি আর সন্তান চাই না।’’

 

উগান্ডার লুসাকায় কেউ ঘুরতে গেলে মুসার পরিবারের সঙ্গে তাঁরা দেখা করেন। এত বড় পরিবার আগে যে কখনও দেখেননি তাঁরা। মুসা কিন্তু কোনও আইনভঙ্গ করেননি। উগান্ডায় একাধিক বিয়ে আইনসম্মত।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর