প্রকাশিত:
১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৬
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমন প্রেক্ষাপটে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গণহত্যাসহ গুম-খুনের অভিযোগে আড়াই শতাধিক মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তবে, বিচারের জন্য ভারত থেকে কোন প্রক্রিয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে আনা যাবে, এ নিয়ে চলছে বিভিন্ন আলোচনা। এ পরিস্থিতিতে ভারত থেকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই শেখ হাসিনাকে ফেরত পাওয়ার আশা করছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যান।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিষয়ক এ বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, তারা বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি সম্মান জানিয়ে জুলাই গণহত্যার প্রধান আসামি শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর ও তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
টবি ক্যাডম্যান বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশ আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে। তবে কিছু বিষয়ে আরও সংশোধন প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য বিচার প্রক্রিয়া মেনে পূর্ণ সহযোগিতারও আশ্বাস দেন তিনি ।
এর আগে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় লন্ডনভিত্তিক ‘গার্নিকা ৩৭’ ল ফার্মের যুগ্ম প্রধান টবি ক্যাডম্যানকে। গার্নিকা ৩৭ জানায়, এই দায়িত্বে টবি ক্যাডম্যানের ভূমিকা হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–সংক্রান্ত সব বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটরকে পরামর্শ দেওয়া।
প্রসঙ্গত, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে এসেছিলেন টবি ক্যাডম্যান। গত ২ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় ওই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন: