রবিবার, ৬ই অক্টোবর ২০২৪, ২০শে আশ্বিন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের
  • ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
  • সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে: আসিফ নজরুল
  • বৈরী আবহাওয়া, উপকূলীয় অঞ্চলে নৌযান চলাচল বন্ধ
  • শহীদ পরিবারের পক্ষে আজ মামলা করবে নাগরিক কমিটি
  • ৪ বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত
  • সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা কামালসহ গ্রেপ্তার ৪
  • চুক্তিতে খাদ্য সচিব হলেন ইলাহী দাদ খান
  • সুপারশপে আজ থেকে পলিথিন ব্যাগ বন্ধ
  • ১৭ উপসচিবকে শাস্তির সুপারিশ

কেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিরাপত্তা রহিত, জানালেন রিজওয়ানা

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
২৯ আগষ্ট ২০২৪, ১৭:০৯

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তায় প্রণীত বিশেষ বিধান রহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রস্তাবে বুধবার (২৯ আগস্ট) যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের চতুর্থ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক শেষে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ তথ্য জানান।

‘বৈষম্যমূলক নীতি’ বিবেচনায় নিরাপত্তা রহিত করা হয়েছে জানিয়ে রিজওয়ানা বলেন, আমাদের এই সরকারটা হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আউটকাম। নিরাপত্তা সংস্থা এরকম বিশেষ নিরাপত্তার দরকার আছে বলে মনে করে না। আর এটাকে বৈষম্যমূলক মনে করা হয়েছে, সেটার ভিত্তিতে এটা রহিত করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯’ (২০০৯ সালের ৬৩ নম্বর আইন) প্রণয়ন ও জারি করা হয়। ২০১৫ সালের মে মাসে আইনটি অনুসারে বিশেষ নিরাপত্তা ও সুবিধা দেওয়ার গেজেট জারি করা হয়।

বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ের সূত্র ধরে প্রধান উপদেষ্টার দফতর থেকে জানান হয়, প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে- বিগত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯ (২০০৯ সালের ৬৩ নম্বর আইন) প্রণয়ন ও জারি করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ১৫/০৫/২০১৫ তারিখে উক্ত আইন অনুসারে বিশেষ নিরাপত্তা এবং সুবিধাদি প্রদানের গেজেট জারি করা হয়। কেবল একটি পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রীয় বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য আইনটি করা হয়েছিল যা একটি সুস্পষ্ট বৈষম্য। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সব বৈষম্য দূরীকরণে দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করেছে। 'বর্তমানে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া অবস্থায়' রহিয়াছে বিধায় এ বিষয়ে আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই আইনটি রহিতকল্পে অধ্যাদেশ জারি করা প্রয়োজন। এ প্রেক্ষাপটে, উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠক কর্তৃক 'জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪'-এর খসড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করা হয়।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর