শনিবার, ১লা মার্চ ২০২৫, ১৭ই ফাল্গুন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ জানাল নির্বাচন কমিশন
  • ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার
  • আয়কর রিটার্ন দাখিলের ভুল অনলাইনেই সংশোধন করা যাবে
  • পদত্যাগপত্রে যা লিখলেন নাহিদ
  • অভিযানে কারও গাফিলতি পেলে ছাড় দেওয়া হবে না
  • ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষে পুলিশের সম্পৃক্ততা ছিল
  • প্রাথমিক সুপারিশমালা দিয়েছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন
  • দেশের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি খুব ভালো
  • বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস ইতালির উপমন্ত্রীর
  • প্রয়োজনে নতুন করে র‌্যাব গঠন করা হবে

অনিশ্চয়তায় বাইডেনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
৯ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৪

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে টেলিভিশন বিতর্ক এর আগে কখনও এত বড় ভূমিকায় আসেনি। এক বিতর্কে পাল্টে গেছে নির্বাচনের যাবতীয় চিত্র। বিতর্কে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকেই ঝুঁকিতে ফেলেছে। দলের অভ্যন্তরে প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়াতে বাইডেনকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। অর্থদাতা অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

তবে গতকাল সোমবার ডেমোক্র্যাট এমপিদের কাছে বাইডেন এক চিঠিতে প্রার্থিতা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছাকে দ্বিগুণ করেছি। আমি এই নির্বাচনেও ট্রাম্পকে পরাজিত করার ক্ষেত্রে দলের একজন সেরা প্রার্থী। ভোটাররা আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন, তার প্রতিদান আমি এই নির্বাচনেও দিতে চাই।

এর আগে তিনি বলেছিলেন, তিনি প্রার্থিতা থেকে সরবেন না; শুধু ঈশ্বরই তাঁকে সরাতে পারবেন। রোববার মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের বেশ কয়েকজন ডেমোক্র্যাট নেতা বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর দাবি তোলেন।

গত ২৭ জুন সিএনএনের আয়োজনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নানা ইস্যুতে মিথ্যাচার করলেও বাইডেন যথাযথ জবাব দিতে পারেননি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে অন্যতম তিক্ত ওই বিতর্কের পর বাইডেনের বয়স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি নবীন কাউকে প্রার্থী কারার দাবিকে জোরালো করেছে।

বিতর্কে হার বাইডেনের জনপ্রিয়তায় কতটা প্রভাব ফেলেছে, তা দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা কলেজের এক জরিপে উঠে এসেছে। সেখানে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৪৩ থেকে ৪৯ শতাংশ ভোটার এখন ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানদের সমর্থন করছে, যা বিতর্কের আগের চেয়ে ৩ শতাংশ বেশি। অথচ এই ট্রাম্পকেই ২০২০ সালে দুটি নির্বাচনী বিতর্কে হারান বাইডেন।

এ অনিশ্চয়তার আগুনে ঘি ঢালছে অর্থদাতাদের অনীহা। ২০২০ সালের নির্বাচনে বাইডেনের সঙ্গে থেকে কাজ করেছেন হোয়াইট হাউসের এমন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, অর্থদাতারা চান না প্রেসিডেন্ট আবার নির্বাচনে অংশ নিন।

ডেমোক্র্যাট নেতা ও ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত আইনপ্রণেতা এরিক সুয়ালওয়েল বলেন, ‘এখন ফোকাস আবার ট্রাম্পের দিকে গেছে। ভাবতে হচ্ছে, তিনি নির্বাচিত হলে আমরা কী কী অধিকার থেকে বঞ্চিত হবো।’

ডেমোক্র্যাটদের উদ্বেগের একটি বড় কারণ হচ্ছে, ট্রাম্প এগিয়ে থাকলে সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পাশাপাশি প্রেসিডেন্সি ও প্রতিনিধি পরিষদের আসন হারানোর আশঙ্কা আছে। বাইডেনের বয়স ৮১, ট্রাম্পের ৭৮। উভয় প্রার্থীর বয়স অনেক বেশি হওয়ায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর