শনিবার, ১লা মার্চ ২০২৫, ১৭ই ফাল্গুন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ জানাল নির্বাচন কমিশন
  • ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার
  • আয়কর রিটার্ন দাখিলের ভুল অনলাইনেই সংশোধন করা যাবে
  • পদত্যাগপত্রে যা লিখলেন নাহিদ
  • অভিযানে কারও গাফিলতি পেলে ছাড় দেওয়া হবে না
  • ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষে পুলিশের সম্পৃক্ততা ছিল
  • প্রাথমিক সুপারিশমালা দিয়েছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন
  • দেশের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি খুব ভালো
  • বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস ইতালির উপমন্ত্রীর
  • প্রয়োজনে নতুন করে র‌্যাব গঠন করা হবে

বাংলাদেশিদের কিডনি পাচার, দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসক গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
৯ জুলাই ২০২৪, ১১:৩৮

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সক্রিয় কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দিল্লি ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ৫০ বছর বয়সী ডা. বিজয়া কুমারকে কিডনি পাচার চক্রের সদস্য হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ডা. বিজয়া কুমার দিল্লির উপকণ্ঠে অবস্থিত নয়ডা উপশহরের ‘যথার্থ’ নামের একটি হাসপাতালে অন্তত ১৫ থেকে ১৬ জন ব্যক্তির কিডনি অপারেশন করেছেন। অপারেশনগুলো মূলত বাংলাদেশের দরিদ্র নাগরিকদের কিডনি অপসারণের জন্য করা হয়েছে। এই অপারেশনগুলো ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, এই পাচার চক্র দরিদ্র বাংলাদেশিদের অর্থের লোভ দেখিয়ে দিল্লির আশপাশের হাসপাতালে নিয়ে আসত। সেখানে চক্রের সঙ্গে জড়িত চিকিৎসকরা তাদের কিডনি অপসারণ করতেন।
ডা. বিজয়া কুমার যে চক্রটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সেই চক্রের অধিকাংশ সদস্য বাংলাদেশি নাগরিক। গত মাসে দিল্লি পুলিশ এই চক্রের তিনজন বাংলাদেশি সদস্যকে গ্রেফতার করে।

বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতো ভারতেও অর্থের বিনিময়ে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে স্বেচ্ছায় অঙ্গ দানের ক্ষেত্রে আইনগত অনুমতি রয়েছে। কিন্তু এই কিডনি পাচার চক্রটি ভুয়া নথি তৈরি করে সেই নথি বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা দিয়ে অপারেশন পরিচালনা করত। পুলিশ এসব ভুয়া নথি উদ্ধার করেছে।

ডা. বিজয়া কুমার প্রায় ১৫ বছর আগে ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তার হিসেবে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি সেখানে জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ও কিডনি প্রতিস্থাপন সার্জন হিসেবে কাজ করতেন। নয়ডার ‘যথার্থ’ হাসপাতালেও ভিজিটিং কনসালটেন্ট ছিলেন তিনি।

হাসপাতালের অতিরিক্ত মেডিকেল সুপারিটেন্ডেন্ট সুনীল বালিয়ান জানান, ডা. বিজয়া যে ব্যক্তিদের কিডনি অপসারণ করেছেন তারা কেউই হাসপাতালের নিবন্ধিত রোগী ছিলেন না। তার সুপারিশের ভিত্তিতেই তারা ভর্তি হয়েছিলেন।

ডা. বিজয়া কুমার ছাড়া ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের আর কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর