রবিবার, ৬ই অক্টোবর ২০২৪, ২১শে আশ্বিন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ব্যাংক নোটে নতুন নকশা, বাদ যেতে পারে বঙ্গবন্ধুর ছবি
  • মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের
  • ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
  • সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে: আসিফ নজরুল
  • বৈরী আবহাওয়া, উপকূলীয় অঞ্চলে নৌযান চলাচল বন্ধ
  • শহীদ পরিবারের পক্ষে আজ মামলা করবে নাগরিক কমিটি
  • ৪ বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত
  • সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা কামালসহ গ্রেপ্তার ৪
  • চুক্তিতে খাদ্য সচিব হলেন ইলাহী দাদ খান
  • সুপারশপে আজ থেকে পলিথিন ব্যাগ বন্ধ

যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
৩০ জুন ২০২৪, ১০:৩৯

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনায় কোনো ধরনের অগ্রগতি হয়নি বলে জানিয়েছে হামাস। লেবাননে অবস্থানরত হামাস নেতা ওসামা হামদান শনিবার (২৯ জুন) সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।

এদিকে জিম্মিদের রক্ষা এবং এ নিয়ে চুক্তি সইয়ের দাবিতে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে শনিবার (২৯ জুন) লক্ষাধিক মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। একই সঙ্গে তাঁরা দেশটিতে আগাম নির্বাচন দেওয়ারও দাবি করেছেন।

গাজায় ৯ মাস ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধে যেকোনো প্রস্তাব নিয়ে হামাস আলোচনায় প্রস্তুত বলে জানান স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির নেতা হামদান। তিনি বলেন, ‘স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা উপত্যকা থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার এবং অর্থবহ বন্দী বিনিময় সমঝোতা নিশ্চিত করবে—এমন যেকোনো ধরনের প্রস্তাব ইতিবাচকভাবে নিতে আবারও প্রস্তুত রয়েছে হামাস।’

যুক্তরাষ্ট্রসহ আরব মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি নিয়ে দুই পক্ষকে রাজি করাতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অচলাবস্থার জন্য ইসরায়েল ও হামাস পরস্পরকে দায়ী করছে। হামাস বলছে, যেকোনো ধরনের চুক্তিতে অবশ্যই যুদ্ধ বন্ধ এবং ইসরায়েলি সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহারের বিষয়টি থাকতে হবে।

অন্যদিকে হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত শুধু সাময়িক অস্ত্রবিরতি মেনে নেওয়ার কথা বলছে ইসরায়েল। ২০০৭ সাল থেকে গাজায় সরকার পরিচালনা করে আসছে হামাস।

ইসরায়েলের শর্ত মেনে নিতে হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন হামদান। তিনি আরও বলেন, মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে কোনো প্রস্তাব পায়নি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।

এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করতে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া।

‘নেতানিয়াহুর হাতে জিম্মিদের রক্ত’

গাজায় আটক থাকা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে চুক্তি সই এবং আগাম নির্বাচনের দাবিতে ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। রাজধানী তেল আবিবে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার বিক্ষোভকারী জমায়েত হয়েছেন বলে আয়োজকেরা জানান।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গাজায় হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা সেখানে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।

এ সময় এক জিম্মির স্বজন বলেন, বন্দী বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে যুদ্ধ বন্ধ না করতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জেদ আমাদের এবং আমাদের প্রিয়জনের মাঝখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গাজায় হামাসের হাতে বন্দী থাকা অবস্থায় মারা যান ৮০ বছর বয়সী ইয়োরাম মেৎসগার। নেতানিয়াহুর উদ্দেশে তাঁর পুত্রবধূ এল মেৎসগার বলেন, ‘যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার মানে হলো জিম্মিরা ইসরায়েলি সরকারের হাতে মারা যাবে। আপনার হাত রক্তে রঞ্জিত।’

এলা আরও বলেন, ‘প্রতিবার শেষ মুহূর্তে সব সমঝোতা নস্যাৎ করে দেন নেতানিয়াহু। পরবর্তী চুক্তি আটকে দেওয়া থেকে অবশ্যই নেতানিয়াহুকে থামাতে হবে।’


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর