রবিবার, ৬ই অক্টোবর ২০২৪, ২১শে আশ্বিন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের
  • ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
  • সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে: আসিফ নজরুল
  • বৈরী আবহাওয়া, উপকূলীয় অঞ্চলে নৌযান চলাচল বন্ধ
  • শহীদ পরিবারের পক্ষে আজ মামলা করবে নাগরিক কমিটি
  • ৪ বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত
  • সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা কামালসহ গ্রেপ্তার ৪
  • চুক্তিতে খাদ্য সচিব হলেন ইলাহী দাদ খান
  • সুপারশপে আজ থেকে পলিথিন ব্যাগ বন্ধ
  • ১৭ উপসচিবকে শাস্তির সুপারিশ

ভোলায় মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপরে, দুর্ভোগে ১৫ গ্রামবাসী

ভোলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
৮ জুলাই ২০২৩, ১২:১৯

পূর্ণিমার জোয়ারে ভোলায় নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। টানা চারদিন ধরে মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

ফলে তলিয়ে গেছে বাঁধের বাইরের অন্তত ১৫টি গ্রাম। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওইসব গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ। 

এছাড়া অতি জোয়ারে তলিয়ে গেছে ভোলার ইলিশার ফেরিঘাটের লো ও হাই ওয়াটার ঘাট। এতে ফেরিতে ওঠা-নামা করতে পারছে না কোনো পরিবহন। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভোলা বলছে, আগামী দু’একদিনের মধ্যে পানি কমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোলা সদরের রাজাপুর ও ধনিয়া ইউনিয়নে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে বসবাস করেন ৩০ হাজারের অধিক মানুষ। আর তাই পূর্ণিমার জোয়ারে তলিয়ে গেছে ওই দুই ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের বেশিরভাগ এলাকা। পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে তারা। 

 

ঘরবাড়ি, রাস্তা-ঘাট সহ বিস্তীর্ণ এলাকা দিনে দু’বারের জোয়ারে ডুবে যায়। এমন পরিস্থিতিতে একদিকে রান্না-বান্নায় অসুবিধা, অন্যদিকে জলাবদ্ধ দূষিত পানিতে বাড়ছে বিভিন্ন রোগ। 

 

রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর ইউনিয়নের নাসিমা ও নার্গিস বেগম বলেন, আমরা নদীর পাড়ে থাকি, এখানে বেড়িবাঁধ নেই। তাই জোয়ার এলেই বাড়িঘর তলিয়ে যায়। 

 

জব্বার, জেবুন্নেছা, রাজিয়া বলেন, তিনদিন ধরে জোয়ারের পানিতে ভাসছি, ঘরে রান্নাও ঠিকমতো চলছে না। আবার আগামী দু’একদিনের মধ্যে পানি কমে গেলেও বাঁধ না থাকায় পুরো বর্ষায় জোয়ার-ভাটায় দুর্বিষহ দিন কাটাতে হয়। আমাদের কষ্ট কেউ দেখে না। 

 

তবে পাউবো বলছে, বিষয়টি মনিটরিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

পাউবো ভোলার নির্বাহী প্রকৌশলী মু. হাসানুজ্জামান বলেন, বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) থেকে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গড়ে ৩০, ৩৫ ও ৪০ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল পানি। তবে বাঁধের ভেতরে কোনো এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, বাঁধের বাইরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে বিষয়টি আমরা মনিটরিং করছি, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, দ্রুত বাঁধের আওতায় এনে এসব মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের দাবি বানভাসি মানুষদের।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর