সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫, ২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ওয়ারেন্ট না থাকায় আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়নি
  • গত অর্থবছরকে ছাড়িয়ে গেছে ১১ মাসের রপ্তানি আয়
  • ভোটারদের নিয়ে নিজেই শপথ পড়ে চেয়ারে বসে পড়ব
  • টাঙ্গাইলে মহাসড়কে ডাকাতি
  • রাজশাহীতে ৫৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
  • মানুষকে দু-মুঠো খাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ার দল বিএনপি
  • করাচিতে জেল ভেঙ্গে পালিয়েছে দুই শতাধিক কয়েদি
  • আগামী বিশ্বকাপের জন্য ভারতের চার ভেন্যু চূড়ান্ত, পাকিস্তান খেলবে কোথায়?
  • সমান্তরাল বিষাদ
  • চাকরিপ্রার্থীদের জন্য গুগলের নতুন এআই টুল ‘ক্যারিয়ার ড্রিমার

সিলেটে পানি কমলেও কমেনি দুর্ভোগ

সিলেট প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
২০ জুন ২০২৪, ১৩:৫৫

সিলেটে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমে যাওয়ায় কমতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল থেকে সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি প্রায় সবকটি পয়েন্টেই কমেছে। তবে সবকটি পয়েন্টে পানি এখনও বিপৎসীমার উপরে রয়েছে।

বুধবারের (১৯ জুন) তুলনায় বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বৃষ্টিপাত অনেকটা কমেছে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছিল সিলেট আবহাওয়া অফিস। আজ সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এরআগে বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও বৃষ্টিপাতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

আজ বেলা ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় সিলেটের আকাশে সূর্যের দেখা না মিলেলেও অনেকটা পরিষ্কার ছিল। তবে আবহাওযার পূর্বাভাসে সিলেটে বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে।

এদিকে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও সিলেটের অধিকাংশ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত রয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, গোলাপগঞ্জ ও সদর উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় পানি কমার খবর পাওয়া গেছে। তবে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা এখনও কমেনি।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে সকাল ৬টায় ১৬ দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বেলা ১১টায় তা আরও কমে ১৬ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে সকাল ৬টায় ১৩ দশমিক ৫৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরে তা আরও কমতে থাকে। সর্বশেষ বেলা ১১টায় ১৩ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার।

সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে সকাল ৬টায় ১১ দশমিক ১৪ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সর্বশেষ বেলা ১১টায় এই পয়েন্টে ১১ দশমিক ০৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পয়েন্টেও পানি কমেছে। এই পানির বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।

সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ০২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বেলা ১১টায় তা আরও কমে ৯ দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার।

সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সকাল ৬টায় ৮ দশমিক ০৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বেলা ১১টায় তা আরও কমে ৮ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এই পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ৭ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, আজ সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১১০ দশমিক ২ মিলিমিটার।

তিনি আরও বলেন, সিলেটে আজ (২০ জুন) ও আগামীকাল (২১ জুন) বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একই সময়ে মাঝারি থেকে অতি ভারী বর্ষণও হতে পারে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর