শনিবার, ১লা মার্চ ২০২৫, ১৭ই ফাল্গুন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ জানাল নির্বাচন কমিশন
  • ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার
  • আয়কর রিটার্ন দাখিলের ভুল অনলাইনেই সংশোধন করা যাবে
  • পদত্যাগপত্রে যা লিখলেন নাহিদ
  • অভিযানে কারও গাফিলতি পেলে ছাড় দেওয়া হবে না
  • ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষে পুলিশের সম্পৃক্ততা ছিল
  • প্রাথমিক সুপারিশমালা দিয়েছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন
  • দেশের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি খুব ভালো
  • বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস ইতালির উপমন্ত্রীর
  • প্রয়োজনে নতুন করে র‌্যাব গঠন করা হবে

পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে পুতিনের হুঁশিয়ারি

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
৬ জুন ২০২৪, ১৬:৫৮

রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে হামলা ঘটলে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন ও পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের হুমকি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এক বিরল সাংবাদিক সম্মেলনে পুতিন পশ্চিমা বিশ্বকে এই সতর্ক বার্তা দেন।

ইউক্রেন পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার ছাড়পত্র পাওয়ার ফলে যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি যে বদলে যেতে পারে, মস্কোয় সেই আশঙ্কা বেড়ে চলেছে। এই নিয়ে পুতিন পশ্চিমা বিশ্বকে সতর্ক করে বলেন, পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডের আরও গভীরে হামলা হলে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের খুব কাছে অন্যান্য দেশেও প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে পারেন।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলির উচ্চপদস্থ সম্পাদকদের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে পুতিন এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, যে রাশিয়া কখনো পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করবে না, পশ্চিমা বিশ্বের এমন অনুমান ভুল।

আপাতত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে কিছু শর্ত মেনে চলতে হচ্ছে। খারকিভের উপর রাশিয়ার হামলার প্রেক্ষাপটে সীমান্তের ঠিক অপর প্রান্তে রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুর উপর কিছু পশ্চিমা অস্ত্র প্রয়োগের ছাড়পত্র পেয়েছে রাশিয়া।

পুতিন বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরে বলেন, ইউক্রেন যদি আরও শক্তিশালী অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় আঘাত হানে, সে ক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বও রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটাক্যামস এবং ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মিসাইল সিস্টেম হামলার সময়ে ধ্বংস করা হবে বলে তিনি হুমকি দেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, উন্নত মিসাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা নিয়ন্ত্রণ ও লক্ষ্যবস্তু বাছাইয়ের কাজে জড়িত থাকেন। সে কারণে মস্কোও বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে ‘অপ্রতিসম' পদক্ষেপ নিতে পারে। মার্কিন সেনাবাহিনী অবশ্য এমন অভিযোগ অস্বীকার করে।

পুতিন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের মনে ইউক্রেন সম্পর্কে কোনো আগ্রহ নেই। তারা নিজের দেশের মহিমায় আগ্রহী। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলের পরোয়া না করে পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভেতর থেকেই নিজেকে এবং নিজস্ব রাজনৈতিক ব্যবস্থা পুড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেন তিনি।

তবে জো বাইডেন বা ট্রাম্প, যিনিই যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হোন না কেন, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তনের আশা করছেন না পুতিন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে লেখা এক চিঠির উল্লেখ করে দাবি করেন, যে পশ্চিমা বিশ্ব চাইলে দুই বা তিন মাসের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পারতো। ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করলেই নাকি শান্তি ফেরানো সম্ভব হতো।

তিনি আরও দাবি করেন, ইউক্রেনের হাতে ১,৩০০-রও বেশি রুশ সৈন্য বন্দি রয়েছে। রাশিয়া ৬,৪০০-রও বেশি ইউক্রেনীয় সৈন্যকে যুদ্ধবন্দি করেছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর