শনিবার, ১লা মার্চ ২০২৫, ১৭ই ফাল্গুন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ জানাল নির্বাচন কমিশন
  • ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার
  • আয়কর রিটার্ন দাখিলের ভুল অনলাইনেই সংশোধন করা যাবে
  • পদত্যাগপত্রে যা লিখলেন নাহিদ
  • অভিযানে কারও গাফিলতি পেলে ছাড় দেওয়া হবে না
  • ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষে পুলিশের সম্পৃক্ততা ছিল
  • প্রাথমিক সুপারিশমালা দিয়েছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন
  • দেশের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি খুব ভালো
  • বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস ইতালির উপমন্ত্রীর
  • প্রয়োজনে নতুন করে র‌্যাব গঠন করা হবে

প্রেমের টানে ফেনীতে এসে বিয়ের পিঁড়িতে মার্কিন নারী, বর ৩০ বছরের ছোট

ফেনী প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
৪ জুন ২০২৪, ১২:২৪

ফেইসবুকে পরিচয়ের পর বন্ধুত্ব; তারপর তা গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। প্রেমিক বয়সে ৩০ বছরের ছোট হলেও বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন পঞ্চাশোর্ধ্ব এক মার্কিন নাগরিক।

শেষ পর্যন্ত প্রেমের টানে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় এসে প্রেমিক জামশেদ আলম রাজুকে বিয়ে করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া শহরের বাসিন্দা সেন্ডোরা ব্রোক্স।

সোমবার (৩ জুন) বিকালে ফেনীর একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় ৫৫ বছর বয়সী সেন্ডোরার সঙ্গে ২৫ বছর বয়সী জামশেদের বিয়ে হয়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জামশেদ সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব সফরপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। নিজের চেয়ে বয়সে ৩০ বছরের ছোট এই যুবককে বিয়ে করার জন্য ধর্মান্তরিতও হয়েছেন সেন্ডোরা ব্রোক্স।

জামশেদ আলম রাজু জানালেন, ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে ফেইসবুকে সেন্ডোরার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। প্রথমে তারা বন্ধু ছিলেন; ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। এক পর্যায়ে দুজন বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরই প্রেক্ষিতে ২ জুন সেন্ডোরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসে।

বাংলদেশে এসে সেন্ডোরা খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। মুসলিম হওয়ার পর সেন্ডোরার নাম হয়েছে লামিয়া। পরে সোমবার (৩ জুন) রাজু ও সেন্ডোরা ফেনীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অপরাজিতা দাশের আদালতে হাজির হয়ে হলফনামা দিলে তিনি তা মঞ্জুর করেন। পরে ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়।

রাজু বলছিলেন, “সেন্ডোরা আমাকে ভালোবেসে বাংলাদেশে এসেছে। সে আমার জন্য তার নিজের ধর্ম ত্যাগ করেছে। সুখে-দুঃখে আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই বলে দুজনে অঙ্গীকার করেছি। আমাদের বিয়েতে আমার পরিবারের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

“তবে এখন আমি ও আমার স্ত্রী একটি হোটেলে অবস্থান করছি। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে যাব।”

বিয়ের সময় সেন্ডোরা তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমার অনেক ভালো লাগছে। আমি এখন ভালো আছি।”

এদিকে বিদেশী বধূকে দেখতে রাজুর বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা। তবে নববধূ বাড়িতে না যাওয়ায় হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে।

যুক্তরাষ্ট্রের নারীকে বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় পলাশ বলেন, “স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এমন কথা শুনেছি। তবে ওই নারী সোমবার রাত পর্যন্ত আমার থানা এলাকায় আসেননি। তিনি ফেনীতে একটি হোটেলে উঠেছেন বলে জানতে পেরেছি।”


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর