শনিবার, ১লা মার্চ ২০২৫, ১৭ই ফাল্গুন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ জানাল নির্বাচন কমিশন
  • ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার
  • আয়কর রিটার্ন দাখিলের ভুল অনলাইনেই সংশোধন করা যাবে
  • পদত্যাগপত্রে যা লিখলেন নাহিদ
  • অভিযানে কারও গাফিলতি পেলে ছাড় দেওয়া হবে না
  • ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষে পুলিশের সম্পৃক্ততা ছিল
  • প্রাথমিক সুপারিশমালা দিয়েছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন
  • দেশের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি খুব ভালো
  • বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস ইতালির উপমন্ত্রীর
  • প্রয়োজনে নতুন করে র‌্যাব গঠন করা হবে

বাড্ডার একটি বাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ১

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
৩০ মে ২০২৪, ১১:৩৮

রাজধানীর মধ্যবাড্ডায় একটি বাসায় জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন এক গার্মেন্টস কর্মী। রান্নাঘরে গ্যাস লিকেজ থেকে অথবা সুয়ারেজ লাইনের বিষাক্ত গ্যাস থেকে এই বিস্ফোরণ হতে পারে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকাল সোয়া ৬টার দিকে ডিআইটি ৪ নম্বর রোডের খোকন দারোগার তিনতলা বাড়ির নিচতলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম সোলায়মান (৩০)। তার বাড়ি ময়মনসিংহর ফুলবাড়িয়া উপজেলার পলাশতলী গ্রামে। বর্তমানে ঘটনাস্থলের বিপরীত পাশে বাড্ডা কাবাব রেস্তোরাঁর কর্মচারি ছিলেন তিনি।

আর আহত নারীর নাম শান্তা বেগম (২৭)। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তার বাড়ি নরসিংদীর বেলাবো উপজেলায়।

ফায়ার সার্ভিসের বারিধারা স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সৈয়দ মনিরুল ইসলাম জানান, সকাল ৬টা ৪৩ মিনিটে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বাসাটির নিচতলায় বিস্ফোরণ হয়েছে। সেই বাড়িটির সামনে রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয় সোলেমান নামের এক যুবকের মরদেহ।

তিনি ধারণা করছেন, বাসার নিচ তলার রান্নাঘরে তিতাস গ্যাসের লাইনের পাইপ থেকে লিক হয়ে গ্যাস জমে ছিল অথবা বাসার সামনে সুয়ারেজ লাইন থেকে বিষাক্ত গ্যাস ওই বাসায় জমে ছিল। সেখান থেকেই সকালে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে।

তবে, বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ বের করতে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান মনিরুল ইসলাম।

এদিকে, হাসপাতালে দগ্ধ শান্তার স্বামী মো. নাসির হাওলাদার জানান, তারা বাড়িটির নিচতলায় ভাড়া থাকেন। শান্তা স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন আর তিনি (নাসির) মাছের আড়তে কাজ করেন। ভোর পাঁচটার দিকে ঘুম থেকে উঠে কাজে চলে যান নাসির। তখনও ঘুমিয়ে ছিলেন শান্তা। এরপর কিছুক্ষণ পর তিনি খবর পান, তাদের বাসায় বিকট বিস্ফোরণ হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি বাসায় গিয়ে দেখেন বাসার সামনে দগ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন শান্তা। তার সমস্ত শরীর পুড়ে গেছে।

তখন তিনি শান্তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।

তিনি বলেন, বুধবার (২৯ মে) রাতে তিনি যখন বাসায় যান, তখন বাসায় গ্যাসের গন্ধ পান। গন্ধটি তাদের বাসার রান্নাঘরের থেকেও বের হতে পারে অথবা বাসার সামনে রাস্তা খুঁড়ে যে কাজ চলছিল সেখান থেকেও গ্যাস বের হয়ে থাকতে পারে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর