শনিবার, ১লা মার্চ ২০২৫, ১৭ই ফাল্গুন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ জানাল নির্বাচন কমিশন
  • ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার
  • আয়কর রিটার্ন দাখিলের ভুল অনলাইনেই সংশোধন করা যাবে
  • পদত্যাগপত্রে যা লিখলেন নাহিদ
  • অভিযানে কারও গাফিলতি পেলে ছাড় দেওয়া হবে না
  • ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষে পুলিশের সম্পৃক্ততা ছিল
  • প্রাথমিক সুপারিশমালা দিয়েছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন
  • দেশের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি খুব ভালো
  • বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস ইতালির উপমন্ত্রীর
  • প্রয়োজনে নতুন করে র‌্যাব গঠন করা হবে

‘মাদ্রিদে এটা প্রায়ই হয়’

গোল বাতিল হওয়া নিয়ে বললেন মুলার

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
৯ মে ২০২৪, ১৪:১০

টমাস মুলার বায়ার্ন মিউনিখ–অন্তঃপ্রাণ। ২০০০ সালে বায়ার্নের বয়সভিত্তিক দলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বাভারিয়ান ক্লাবটিতে খেলছেন জার্মান ফরোয়ার্ড। বায়ার্নের প্রতি তাঁর আবেগ, ভালোবাসা ও নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন চলে না। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গতকাল রাতে বায়ার্নের জন্য নিজের নিবেদন ও আবেগ দুটোই ঢেলে দিয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী এই তারকা।

মুলারের নিবেদনের কথা উঠলে সবার আগে চলে আসে ম্যাচে সবচেয়ে বিতর্কিত মুহূর্তটি। যোগ করা সময়ে ১৩ মিনিটে করা করা ম্যাথিয়াস ডি লিটের গোলটি, লাইনসম্যান অফসাইডের পতাকা তোলায় গোলটি বাতিল করেন রেফারি সাইমন মার্চিনিয়াক। ৮৪ মিনিটে বদলি হয়ে নামা মুলারের হেডে করা পাস থেকে গোল করেন ডাচ ডিফেন্ডার।

জশুয়া কিমিখের দূরপাল্লার পাসটা ধরে দৌড় দিয়েছিলেন মুলার ও ডি লিট দুজনেই। সে মুহূর্তে অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইনসম্যান। এরপরই বাঁশি বাজান রেফারি। রিয়ালের খেলোয়াড়েরা ততক্ষণে থামলেও নিচু শটে গোল করেন ডি লিট। রেফারি বাঁশি বাজানোয় সেটি অফসাইড ছিল কি না, তা ভিএআরে যাচাই করে দেখার এখতিয়ার ছিল না। তবে ভিডিও রিপ্লেতে দেখা গেছে, অফসাইডের সিদ্ধান্তটি ‘ক্লোজ’ ছিল।

গোলটি বাতিল না হলে ২-২ গোলে ম্যাচে সমতায় ফিরত বায়ার্ন ও ম্যাচ গড়াত অতিরিক্ত সময়ে। কিন্তু গোলটি বাতিল হওয়ায় সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে ২-১ গোলে হেরে যায় জার্মান ক্লাবটি। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলের জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছে রিয়াল। যোগ করা সময়ে ডি লিটের গোলটি বাতিল হওয়ায় খেপেছেন মুলার। আর মুলারের এই ক্ষোভ উগরে দেওয়ার মধ্য দিয়েই বায়ার্নের প্রতি তাঁর ভালোবাসাটার গভীরতাটা বোঝা যায়।

ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে ক্ষোভ উগরে দেন মুলার, ‘রেফারি ভিএআর এর সাহায্য নেয়নি। তিনি এটা দেখার সুযোগও পাননি। এমন পরিস্থিতি খুব অদ্ভুত, এত দ্রুত বাঁশি বাজালেন! অবিশ্বাস্য সিদ্ধান্ত। সাধারণত বাঁশি বাজানোর আগে তিন মিটার দৌড়ানোর সুযোগ দেওয়া হয়। জানি না আসলে কী ঘটেছে।’ মুলার কিন্তু এখানেই থামেননি; রিয়ালের প্রতি অভিযোগের আঙুল তুলে বায়ার্ন কিংবদন্তি আরও বলেছেন, ‘দুঃখজনকভাবে মাদ্রিদে এটা প্রায়ই হয়। ২০১৭ সালেও আমাদের সঙ্গে এটা ঘটেছে, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দুই গোল করেছিল...তবে সেটা ভিএআরের আগে।’

চ্যাম্পিয়নস লিগে ২০১৯-২০ মৌসুম থেকে ভিএআর প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু হয়। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগে বায়ার্নের মাঠে ২-১ গোলে জিতেছিল রিয়াল। ১৮ এপ্রিল ফিরতি লেগে বার্নাব্যুতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর হ্যাটট্রিকে ৪-২ গোলে জেতে মাদ্রিদের ক্লাবটি। ফিরতি লেগের সে ম্যাচে রোনালদোর দুটি গোল অফসাইড ছিল বলে দাবি করেছিল বায়ার্ন।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর