শনিবার, ১লা মার্চ ২০২৫, ১৭ই ফাল্গুন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ জানাল নির্বাচন কমিশন
  • ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার
  • আয়কর রিটার্ন দাখিলের ভুল অনলাইনেই সংশোধন করা যাবে
  • পদত্যাগপত্রে যা লিখলেন নাহিদ
  • অভিযানে কারও গাফিলতি পেলে ছাড় দেওয়া হবে না
  • ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষে পুলিশের সম্পৃক্ততা ছিল
  • প্রাথমিক সুপারিশমালা দিয়েছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন
  • দেশের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি খুব ভালো
  • বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস ইতালির উপমন্ত্রীর
  • প্রয়োজনে নতুন করে র‌্যাব গঠন করা হবে

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৫

যুদ্ধের পেছনে অর্থ ব্যয় না করে, তা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যয় করলে বিশ্ব রক্ষা পেতো বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) এক্সপো’ এবং ‘বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারিত্বের (বিসিডিপি)’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের অবস্থান ০.৪৮ শতাংশের কম হলেও, এর নেতিবাচক প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের মধ্যে আমরা অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তনের এ বিরূপ প্রভাব আমাদের সম্ভাব্য উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।

আগামী ২৭ বছরে ন্যাপের গৃহীত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এজন্য সুনির্দিষ্ট তহবিল ও অতিরিক্ত আর্থিক সংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণে ধনী দেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই।


তিনি আরও বলেন, উন্নত দেশগুলো ব্যাপক কার্বন নিঃসরণের মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখে চলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে রক্ষা করা তাদের নৈতিক দায়িত্ব।


ভাড়াটিয়ার ঘর থেকে বাড়িওয়ালার স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি থাকাকালে অভিযোজন এবং প্রশমন কার্যক্রমে উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য বার বার আহ্বান জানিয়েছি। আমার প্রত্যাশা, উন্নত দেশসমূহ তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের হুমকিতে থাকা অন্যান্য দেশগুলো যাতে অব্যাহতভাবে আর্থিক, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পায় সেজন্য আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি হ্রাসে বাংলাদেশে অভিযোজন ও প্রশমন উভয় ক্ষেত্রে উপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করে যাচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে চাই। এজন্য প্রয়োজন অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, সহিষ্ণুতা শক্তিশালী করা এবং ঝুঁকি হ্রাসে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা।

এসময় প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- কার্বন-নির্গমনকারী দেশগুলোকে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে তাদের নির্গমন হ্রাস করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। উন্নত দেশগুলোর দ্বারা জলবায়ু তহবিলে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে। অভিযোজন এবং প্রশমনের মধ্যে তা সমানভাবে বণ্টন করতে হবে। উন্নত দেশগুলোকে উন্নয়নশীল দেশে প্রযুক্তি স্থানান্তরের পাশাপাশি সবচেয়ে কার্যকর জ্বালানি সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের সময়, সংশ্লিষ্ট দেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকার তাদের ক্ষতি অনুসারে বিবেচনা করা উচিত।

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদী-ভাঙন, বন্যা এবং খরার কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব সবে দেশকে ভাগ করে নিতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর