শনিবার, ১লা মার্চ ২০২৫, ১৭ই ফাল্গুন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ জানাল নির্বাচন কমিশন
  • ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার
  • আয়কর রিটার্ন দাখিলের ভুল অনলাইনেই সংশোধন করা যাবে
  • পদত্যাগপত্রে যা লিখলেন নাহিদ
  • অভিযানে কারও গাফিলতি পেলে ছাড় দেওয়া হবে না
  • ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষে পুলিশের সম্পৃক্ততা ছিল
  • প্রাথমিক সুপারিশমালা দিয়েছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন
  • দেশের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি খুব ভালো
  • বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস ইতালির উপমন্ত্রীর
  • প্রয়োজনে নতুন করে র‌্যাব গঠন করা হবে

আবার চমকে দিলেন রুনা খান, এবার র‍্যাম্পে

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৩ জানুয়ারী ২০২৪, ১৪:৫২

ওয়েব ফিল্ম ‘অসময়’-এ অভিনয় করে রুনা খান এখন আলোচনায়। ঠিক তখনই তাঁর জীবনে ঘটল অন্য রকম এক ঘটনা। অভিনয়জীবনে দুই দশকের বেশি সময় পার করলেও এবারই প্রথম র‍্যাম্পে হাঁটার অভিজ্ঞতা হলো তাঁর। এই অভিনয়শিল্পী ঢাকার তেজগাঁওয়ের আলোকি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত খাদি উৎসবের মঞ্চে শো স্টপার হিসেবে অংশ নিলেন। প্রথমবারের মতো র‍্যাম্পে হেঁটে ভীষণ উচ্ছ্বসিত এই অভিনয়শিল্পী। 


২২ জানুয়ারি দুপুরে রুনা খানের কথা হয়। র‍্যাম্পে হাঁটার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে বললে এই অভিনয়শিল্পী ফিরে গেলেন দুই দশক আগে। বললেন, ‘২০০৪ সালের কথা। তখন পাক্ষিক আনন্দধারায় একটা ফটোশুটে অংশ নিয়েছিলাম। সেই ফটোশুটে দিহান আপু সারা দিন ধরে আহ্লাদ করে বলেছিলেন, “তুই র‍্যাম্পে কাজ কর। তোর উচ্চতা, ফিগার—সবই উপযুক্ত।” আমার কাছে তখন মনে হয়েছিল, এটা কি আমার কাজ? আমি কি আদৌ পারব? র‍্যাম্প ও অভিনয়—দুটো দুই ধরনের কাজ। আমার যদি শেষ পর্যন্ত কোনোটাই না হয়, সে জন্য আমি আসলে অভিনয়কে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। দিহান আপু এ–ও বলেছিলেন, “আর কিচ্ছু না করলেও শুধু বিবি আপার (বিবি রাসেল) সঙ্গে কাজ করতে পারিস।” তখন তিনি আমাকে রাজি করাতে পারেননি। কারণ, আমার মনে হয়েছিল, আমি পারব না।’


২০০৪ সালে না পারলেও শেষ পর্যন্ত রুনা র‍্যাম্পে হাঁটলেন ২০ বছর পর। নতুন অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে রুনা বললেন, ‘খাদি ফেস্টিভ্যালে হাঁটলাম। আমাদের দেশি পণ্য, দেশি ঐতিহ্য, বেশির ভাগ ডিজাইনার আমাদের দেশি। মাহিন আপার ডিজাইন করা পোশাকে শো স্টপার হয়ে কাজ করার সুযোগ পেলাম। মনে হয়েছে, এটা আমার জন্য শুধু সুযোগ নয়, সম্মানেরও। আমার সঙ্গে আফরোজা পারভীন আপা (বিউটিশিয়ান) যোগাযোগ করেন। তিনি পুরো ব্যাপার আমাকে বুঝিয়ে বলেন। মাহিন আপাও আমাকে বারবার বলেছিলেন, “মডেল হিসেবে তোমাকে দেখতে চাই না, তুমি যা, তা–ই দেখতে চাই। রুনা খানের ব্যক্তিত্ব এখানে দেখতে চাই। তুমি যেভাবে হাঁটো, সেভাবেই হাঁটবে, মডেলদের মতো নয়।” শেষ পর্যন্ত তো আমার দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে।’

র‍্যাম্পে ছিলেন রুনা খানের একমাত্র মেয়ে রাজেশ্বরী। সে প্রসঙ্গও উঠে এল কথায়। তিনি বললেন, ‘আমার মেয়ে তো ভীষণ খুশি, ভীষণ গর্বিত তার মাকে এভাবে দেখে। এটা আমার জন্যও খুব আবেগের ব্যাপার ছিল। কাজটা এত বেশি উপভোগ করেছি, ভবিষ্যতেও এ রকম সম্মানজনক সুযোগ পেলে আরও করব।’

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর