মঙ্গলবার, ৮ই অক্টোবর ২০২৪, ২২শে আশ্বিন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সেপ্টেম্বরে সড়কে প্রাণ গেল ৪২৬ জনের
  • পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষতি: সিপিডি
  • অভিন্ন জলরাশি নীতিমালা না হলে বন্যাঝুঁকি আরও বাড়বে: রিজওয়ানা
  • ব্যাংক নোটে নতুন নকশা, বাদ যেতে পারে বঙ্গবন্ধুর ছবি
  • মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের
  • ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
  • সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে: আসিফ নজরুল
  • বৈরী আবহাওয়া, উপকূলীয় অঞ্চলে নৌযান চলাচল বন্ধ
  • শহীদ পরিবারের পক্ষে আজ মামলা করবে নাগরিক কমিটি
  • ৪ বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত

ইন্টারনেটের স্বল্পমেয়াদি প্যাকেজ পুনর্বহাল ও দাম কমানোর দাবি

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:৫৮

স্বল্প মেয়াদের প্যাকেজ পুনর্বহাল, প্যাকেজের দাম কমানোসহ করহার কমিয়ে ইন্টারনেটের মূল্য সহনীয় করার দাবি এবং প্রয়োজনে গণশুনানী করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সেগুনবাগিচাস্থ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে ইন্টারনেটের মূল্য বৃদ্ধি ও প্যাকেজ জটিলতা নিরসনে করণীয় শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়েছে।


সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ফেলো প্রফেসর ড. এ.কে.এম রিয়াজুল হাসান, বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, ভোক্তা সংগঠক ও বাজার বিশ্লেষক কাজী আব্দুল হান্নান, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট সাহেদা বেগম, ডা. আমিনুল ইসলাম, মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী রিচার্জ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু, সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক শেখ ফরিদ প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, স্বল্পমেয়াদি প্যাকেজ বাতিলের সিদ্ধান্তের পর ইন্টারনেটের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এ বিষয়ে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন অনেক আগেই সরকার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে সতর্ক করেছিল। তখন আমাদের বক্তব্য আমলে নেওয়া হলে ইন্টারনেটের মূল্য নিয়ে আজকের এই পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হতো।

মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন শুরু থেকেই ৩ দিনের মতো স্বল্পমেয়াদি ইন্টারনেট প্যাকেজ বাতিলের বিরোধী ছিল।
কারণ, নতুন নির্দেশনা কার্যকর করার আগে প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রাহক ৩ দিন বা তার কম মেয়াদের প্যাকেজ ব্যবহার করতেন। সেই গ্রাহকেরা এখন বাধ্য হয়ে ৭ দিন মেয়াদের প্যাকেজ ব্যবহার করছেন। তিনদিনের মতো স্বল্প মেয়াদের প্যাকেজ বাতিল হলে যে ইন্টারনেটের মূল্য বেড়ে যাবে সে বিষয়টি মোবাইল অপারেটররাও বিভিন্ন সময়ে বিটিআরসিকে এবং গণমাধ্যমে জানিয়ে এসেছে।

গ্রাহকদের জন্য প্যাকেজ সংখ্যা ৪০-এ নামিয়ে আনার কারণেও সার্বিকভাবে ইন্টারনেটের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আমরা মনে করি। এর ফলে একদিকে গ্রাহকের প্যাকেজ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে, অপরদিকে এর মাধ্যমে অপারেটরদের মূল্য বৃদ্ধি করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। স্বল্প আয় ও প্রান্তিক গ্রাহকদের ব্যবহৃত স্বল্পমেয়াদি ও স্বল্প মূল্যের ইন্টারনেট প্যাকেজ বাতিলের কারণে গ্রাহকের ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে, কঠিন এ সময়ে এহেন হঠকারী সিদ্ধান্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে।

বক্তারা বলেন, আমরা জানি, বাজারে কোনো ইন্টারনেট প্যাকেজ বিটিআরসির ট্যারিফ অনুমোদন ব্যতীত অপারেটররা ছাড়তে পারে না। তিন দিনের স্বল্পমেয়াদি প্যাকেজগুলো বাতিলের পর এখন যেসব প্যাকেজ বাজারে চালু আছে সেগুলোও একইভাবে বিটিআরসির অনুমোদন পেয়েছে। মূল্য কমানোর যে আলোচনা এখন চলছে, তাহলে কী আমরা ধরে নেব বিটিআরসির অনুমোদন ছাড়াই অপারেটররা প্যাকেজ বিক্রি করছে? নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনে যে প্যাকেজ বাজারে ছাড়া হয়েছে-সেটির মূল্য কমাতে নতুন নির্দেশনা প্রমাণ করে মন্ত্রণালয় এবং বিটিআরসির মধ্যে ন্যূনতম সমন্বয় নেই। মূল্য বৃদ্ধির এই দায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।


সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, স্বল্প মেয়াদের প্যাকেজ বাতিলের সিদ্ধান্তের পর এক মাস না পেরোতেই মূল্য পরিবর্তনের আরেকটি পদক্ষেপ বাজারে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করবে। মূল্য নিয়ন্ত্রণে স্বল্প সময়ে একাধিক হস্তক্ষেপ গ্রাহকদের একদিকে বিভ্রান্ত করবে, অপরদিকে তা বাজারের প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশকেও বিঘ্নিত করবে। শুধু নির্বাচন উপলক্ষে ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ, এরপর যদি আবার মূল্য বৃদ্ধি পায় তাহলে তার দায় কে নেবে? মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের ফলে গত এক মাসে গ্রাহকদের যে বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে সেটি কী গ্রাহকদের আদৌ ফেরত দেওয়া হবে?

সার্বিক বিবেচনায় ৩ দিনসহ স্বল্প মেয়াদের সব প্যাকেজ পুনর্বহাল, ইন্টারনেটের মূল্য আগের চেয়েও কমানো, ইন্টারনেটের মূল্যের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা কমিয়ে সহনীয় করা, গ্রাহকের পছন্দের প্যাকেজের ওপর সীমা তুলে দেওয়া, মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের ফলে গত এক মাসে গ্রাহকদের যে বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে তা সমন্বয়ের ব্যবস্থা করা এবং প্যাকেজের সংখ্যা নিয়ে গ্রাহক বিভ্রান্তি বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর