শনিবার, ১লা মার্চ ২০২৫, ১৭ই ফাল্গুন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ জানাল নির্বাচন কমিশন
  • ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার
  • আয়কর রিটার্ন দাখিলের ভুল অনলাইনেই সংশোধন করা যাবে
  • পদত্যাগপত্রে যা লিখলেন নাহিদ
  • অভিযানে কারও গাফিলতি পেলে ছাড় দেওয়া হবে না
  • ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষে পুলিশের সম্পৃক্ততা ছিল
  • প্রাথমিক সুপারিশমালা দিয়েছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন
  • দেশের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি খুব ভালো
  • বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস ইতালির উপমন্ত্রীর
  • প্রয়োজনে নতুন করে র‌্যাব গঠন করা হবে

কুড়িগ্রামে ইউএনও’র উদ্যোগে দূর হলো স্কুলশিক্ষার্থীদের যাতায়াত বিড়ম্বনা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
৪ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:২১

ভাঙনে স্থানান্তরিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের বিড়ম্বনা দূর করলেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেদুল হাসান। খাল দ্বারা মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন কুড়িগ্রাম সদরের মোগলবাসা ইউনিয়নের উত্তর মাঝের চর আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য ইউএনও তৈরি করে দিয়েছেন একটি কাঠের ব্রিজ। গত তিন দিন ধরে সদ্যনির্মিত ওই ব্রিজ দিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি গ্রামবাসী যাতায়াত শুরু করেছেন।

উত্তর মাঝের চর আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন জানান, ভাঙন ও জায়গা সংক্রান্ত জটিলতা শেষে গত বছর বিদ্যালয়টি কৃষ্ণপুর মৌজার নিজস্ব জায়গায় স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু স্কুলটি মূল ভূখণ্ড থেকে জিন্নার খাল নামে স্থানীয় একটি ছড়া দিয়ে বিচ্ছিন্ন ছিল। এ কারণে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের স্কুলে যাতায়াত করতে সমস্যা হচ্ছিল। ডিঙি নৌকায় খাল পার হয়ে স্কুলে যেতে হতো।

এ কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কম হচ্ছিল। ইউএনও রাসেদুল হাসান সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা খালের ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান। ইউএনও তখনই ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দেন। তার উদ্যোগে খালের ওপর কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও মাঝের চর গ্রামের তিন হাজারেরও বেশি মানুষের যাতায়াত বিড়ম্বনার অবসান হয়েছে।

প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘এই ব্রিজ হাজারো মানুষের কষ্ট লাঘব করলো। আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী অত্যন্ত খুশি। এটি সম্ভব হয়েছে শুধু ইউএনও স্যারের আন্তরিক উদ্যোগের কারণে।’

স্থানীয় অভিভাবক আব্দুস সালাম বলেন, ‘একটি ব্রিজের অভাবে বছরের পর বছর মানুষ বিড়ম্বনার শিকার হয়েছে। আপাতত সেই কষ্ট দূর হয়েছে। আমরা আশা করবো, আগামীতে একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। আমাদের ও স্কুলশিক্ষার্থীদের যাতায়াত সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।’

ইউএনও বলেন, ‘যাতায়াত সমস্যার কারণে ওই স্কুলটিতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম হচ্ছিল। বিষয়টি জানার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে উপজেলা প্রশাসনে অর্থায়নে কংক্রিটের খুঁটির ওপর একটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এখন আর শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সমস্যা থাকবে না। পাশাপাশি কয়েক হাজার মানুষও উপকৃত হবেন।’

স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ প্রশ্নে ইউএনও বলেন, ‘স্কুলটির পাকা ভবন নির্মাণের বরাদ্দ এসেছে। সেটি সম্পন্ন হওয়ার পর আমরা একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব পাঠাবো।’


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর