রবিবার, ৬ই অক্টোবর ২০২৪, ২০শে আশ্বিন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের
  • ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
  • সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে: আসিফ নজরুল
  • বৈরী আবহাওয়া, উপকূলীয় অঞ্চলে নৌযান চলাচল বন্ধ
  • শহীদ পরিবারের পক্ষে আজ মামলা করবে নাগরিক কমিটি
  • ৪ বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত
  • সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা কামালসহ গ্রেপ্তার ৪
  • চুক্তিতে খাদ্য সচিব হলেন ইলাহী দাদ খান
  • সুপারশপে আজ থেকে পলিথিন ব্যাগ বন্ধ
  • ১৭ উপসচিবকে শাস্তির সুপারিশ

ঢাকায় থাকেন শিক্ষিকা, হাজিরা খাতায় সই হয়ে যায় নীলফামারীর স্কুলে!

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশিত:
১৩ জুন ২০২৩, ১৬:১৭

প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা তিনি। থাকেন ঢাকায় স্বামীর সঙ্গে। কিন্তু বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় তিনি নিয়মিত উপস্থিতির সই করছেন। সেই সঙ্গে বিদ্যালয়ে না এসেও বেতনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ঠিকই ভোগ করছেন। অভিযোগ উঠেছে, উৎকোচের বিনিময়ে তাকে এসব সুযোগ করে দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

ঘটনাটি নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ঝাকুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

সূত্র জানায়, পুটিমারী ঝাকুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শামীমা নওরিন জ্যোতি নামে একজন শিক্ষিকা চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। যোগদান করার পর কয়েকদিন ক্লাস নিলেও পরে তিনি স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় অবস্থান করছেন। এদিকে তিনি ঢাকায় অবস্থান করলেও বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাজিরা খাতায় নিয়মিত উপস্থিতি দেখাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্বরত উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি আগে থেকেই জানেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, এ বিদ্যালয়ে ছয়জন শিক্ষকের মধ্যে চারজন শিক্ষক নিয়মিত ক্লাস নেন। বাকিদের মধ্যে শামীমা নওরিন জ্যোতি অনুপস্থিত রয়েছেন। তিনি এ বিদ্যালয়ের সভাপতির ছোট বোন। তাই তাকে বিদ্যালয়ে আসতে হয় না।

অভিযোগ রয়েছে, শামীমা বিদ্যালয়ে না এসেও হাজিরা খাতায় নিয়মিত উপস্থিত থাকছেন। ওই বিদ্যালয়ের কেউ না কেউ তার স্বাক্ষর করে রাখছেন। তবে হাজিরা খাতায় যোগদানের দিন তিনি যে স্বাক্ষর দিয়েছেন, তার সঙ্গে পরবর্তী অনেক স্বাক্ষরের নেই কোনো মিল।

এলাকাবাসী জানান, ওই শিক্ষক প্রায়ই অনুপস্থিত থাকেন বিদ্যালয়ে।

ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, শামীমা নওরিন জ্যোতি কয়েক দিন স্কুলে এসেছিলেন। পরে আর আসেন না।

শিক্ষিকা শামীমা নওরিন জ্যোতির মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, শামীমা অন্তঃসত্ত্বা, আমাকে ফোন করে ছুটি নিয়েছে। সে ঢাকায় গেছে।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এর আগেও ওই শিক্ষিকার অনুপস্থিতির বিষয়টি আমি ধরেছিলাম। তখন আমাকে জানানো হয়, তার মিস ক্যারেজ হয়েছে। তাই মানবিক কারণে পদক্ষেপ নেইনি। তবে স্বাক্ষরের গরমিলের বিষয়টি দেখে প্রধান শিক্ষককে সতর্ক করেছি। অনুপস্থিতির কারণে ওই শিক্ষিকাকে শোকজও করেছি।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ জানান, বিষয়টি তিনি আগে জানতেন না। জানার পর একটি তদন্ত কমিটি করেছেন। ওই শিক্ষিকাকে শোকজ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর